সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সিডনিতে তহবিল সংগ্রহে পিঠা উৎসবের আয়োজন

প্রকাশ: ২ আগস্ট ২০২২ | ৭:২০ অপরাহ্ণ আপডেট: ২ আগস্ট ২০২২ | ৭:২০ অপরাহ্ণ
সিডনিতে তহবিল সংগ্রহে পিঠা উৎসবের আয়োজন

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তহবিল সংগ্রহের জন্য শীতের পিঠা উৎসব ও সকালের নাস্তার আয়োজন করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টার গত ৩১ জুলাই (রবিবার) সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ আয়োজন চলে।

হাজারো সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীর উপচে পড়া ভিড়ে এক মিলনমেলায় পরিনত হয় এই মুসলিম সেন্টারটি। ১৩-১৭ ঈগল ভিউ রোড মিন্টুতে আয়োজিত গ্রামীণ পরিবেশে সকাল থেকেই বেচা-কেনার হাক ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো পাঁচ একর এলাকা। ক্যামেল বার্গার, ঐতিহ্যবাহী নানা জাতীয় পিঠা পুলি, লুচি-লাবড়া, খাসির মাংস ও পড়াটা, নেহারি, হালিম, সসেজ, হট ডগ বিভিন্ন উপাদানের মুখরোচক মিষ্টি, ঝালমুড়ি, মশলা-চা, মিষ্টি পান-সুপারিসহ অনেক মজাদার খাবার ছিল এই পিঠা উৎসবে।

পিঠা উৎসবে যোগ দেওয়া নারীরা বলেন, আমরা রাতভর পিঠা বানিয়েছি। পাশাপাশি অন্যরা ফজরের নামাজের পর থেকেই তাদের বাকি রান্নার কাজে হাত দেন। সকাল আটটা থেকেই প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে সিডনির দূর দূরান্ত থেকে সদস্য, তাদের পরিবারবর্গ বন্ধু- বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সেন্টারে আসতে থাকেন।

সংগঠনের সভাপতি ড.আনিসুল আফসার বলেন, পিঠা উৎসব থেকে ওয়েলফেয়ারের সেন্টারের উন্নয়নের জন্য ১০ হাজার টাকা তহবিল তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এতো শুভাকাঙ্ক্ষী সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে তা বুঝতে পারিনি। তিনি আরও জানান, এই পিঠা উৎসবের যাবতীয় খাবার আমরা বিনামূল্যে পেয়েছি। তাই বিক্রয়লব্ধ অর্থের সবটাই সেন্টারের উন্নয়ন তহবিলে জমা পড়বে। তিনি এই দানের জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর খান মুন জানান, পিঠা মেলাটি সুন্দর করার জন্য আমদের প্রায় ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক গতকাল থেকে কয়েকটি ভাগে কাজ শুরু করেন। তিনি আজকের পিঠা মেলা থেকে সতেরো হাজার চারশত তিতাল্লিশ ডলার সংগ্রহ হয়েছে জানিয়ে মেলাটি সফল করার জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান।

বিক্রেতারা ক্রেতাদের নজর কাড়ার জন্য বিভিন্ন রকমের হাক ডাক দিতে থাকেন। “মামা হালিম খাইয়া যান- ভাবীর জন্য লইয়া যান” “নতুন হাজীর তৈরি ঝাল-মুড়ি ফুরাইয়া গেলে আফসোসে মরি”, “গরম লুচি খাইয়া যান, বন্ধুর লাইগা লইয়া যান” ‘শীত ঠেকাইতে মশলা চা ফুরাইয়া গেলে আর পাইবেন না’, “মিষ্টি পানের রসে, শীত থাকবে বশে”।

কোনো কোনো ক্রেতা খাবারের দ্বিগুণ দাম পরিশোধ করতে দেখা যায়। অনেকেই পরিবার ও বন্ধু-বন্ধবসহ মাটিতে চাঁদর বিছিয়ে তাদের খাওয়া দাওয়া সেরে নেন। অনেক পরিবার তাদের ছোট বাচ্চাদের রাইডিং ক্যাসেলে ব্যস্ত রেখে সবুজে ঘেরা পুরা সেন্টারটি ঘুরে দেখেন।

অনেকেই বন্ধুদের সাথে বহুদিন পরে দেখা হওয়ায় সুবাদে আলিঙ্গন করেন। আগে খাবার কিনে কিভাবে অন্যদের খাওয়ানো যায় এই প্রতিযোগিতাও দেখা যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট