সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন সময়ের সংলাপের ইফতেখার

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯:৫৯ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯:৫৯ অপরাহ্ণ
ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন সময়ের সংলাপের ইফতেখার

অভিবাসনবিষয়ক সাংবাদিকতায় প্রথমবারের মতো মতো ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক বাংলা সংবাদ মাধ্যম সময়ের সংলাপের প্রতিবেদক ইফতেখার ইসলাম।

গত ১৭ ডিসেম্বর ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। বাংলাদেশের প্রবাসীদের বিভিন্ন দু:খ, দুর্দশা, ভোগান্তি এবং বিশ্বাসের কাছে বলি হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় এবং সমাধানের পথ উঠে এসেছে তার প্রতিবেদনে।

এ বছর অভিবাসন খাতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ইফতেখার ইসলামসহ ১৫ জন সাংবাদিক এই পুরস্কার পেয়েছেন। প্রধান অতিথি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম এই পুরস্কার তুলে দেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও নীতি অনুবিভাগের প্রধান আয়েশা হক ও ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অভিবাসন খাতে সাংবাদিকদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে ২০১৫ সালে ব্র্যাক প্রথমবারের মতো মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান শুরু করে। এ বছরে অষ্টমবারের মতো এই পুরস্কার দেওয়া হলো। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান।

এ বছর সংবাদপত্র জাতীয় বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন দৈনিক সমকালের রাজিব আহাম্মদ ও দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের মো. মাসুম বিল্লাহ এবং দৈনিক বাংলার জেসমিন পাপড়ি। সংবাদপত্র আঞ্চলিক ক্যাটাগরিতে একুশে পত্রিকার শরীফুল ইসলাম, দৈনিক চট্টগ্রাম খবরের ইফতেখায়রুল ইসলাম এবং দৈনিক জৈন্তা বার্তার শাকিলা ববি পুরস্কৃত হন।

টেলিভিশন নিউজ বিভাগে যমুনা টেলিভিশনের আহমেদ রেজা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের তালাশ দলের দুই অনুসন্ধানী সংবাদিক এনামুল হক ও মো. নাজমুল সাইদ, নিউজ ২৪-এর খন্দকার বদরুল আলম পুরস্কার পান।

এ ছাড়া রেডিও বিভাগে ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা রেডিও তেহরানের এম এম বাদশা, অনলাইন সংবাদপত্র বিভাগে জাগো নিউজের জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা পোস্টের আদনান রহমান ও ঢাকা মেইলের মো. ইমরুল কায়েস পুরস্কার পেয়েছেন। গণমাধ‌্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে বাংলা টিভি। বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে একটি ক্রেস্ট, স্বীকৃতির সনদ এবং পুরস্কারের অর্থমূল্যের চেক হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক-প্রকাশক মাহফুজ আনাম সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের প্রবাসীরা প্রতি বছর অন্তত ২২ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠান যেটি বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় শক্তি। জমিজমা বিক্রি করে, নিজের টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে তারা দেশে যে টাকা পাঠান এটাই দেশপ্রেমের বড় ‍উদাহরণ। ডলার রিজার্ভের এই সংকটময় সময়ে আমরা সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছি। কিন্তু অভিবাসীরা তো শুধু অর্থ পাঠানোর যন্ত্র না।

মাহফুজ আনাম বলেন, মানবিক দৃষ্টিতে আমাদের সবার এই খাতকে দেখতে হবে। অভিবাসন খাতে গণমাধ্যমের আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই খাতের সমস‌্যাগুলো ধরে ধরে গভীরে যেতে হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও নীতি অনুবিভাগের প্রধান ও যুগ্ম সচিব আয়েশা হক বলেন, অভিবাসন খাতে গণমাধ্যমের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখে সমাধানের চেষ্টা করে। পাশাপাশি দক্ষ কর্মী তৈরি ও নতুন শ্রমবাজার তৈরির কাজ করছে সরকার। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সবাই মিলে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবেই।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, আজ রিজার্ভের সংকটের কারণে সবাই প্রবাসী আয় নিয়ে কথা বলছে, প্রবাসীদের নিয়ে কথা বলছে। তবে আমাদের অভিবাসী কর্মীদের অভিজ্ঞতাগুলোও বুঝতে হবে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। এই যে, ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় আমাদের নির্মাণশ্রমিকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রবাসে কাজ করেন কতজন সেটা বুঝতে পারি? অভিবাসীদের স্বার্থ ও অধিকারের বিষয়গুলোতে নজর দিতে হবে। প্রবাসীদের গল্পগুলোকে গণমাধ্যম আরও কার্যকরভাবে তুলে আনতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট