শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হার্ভার্ডে প্রবাসীদের সঙ্গে আলোচনা

৩০০ আসনেই প্রার্থী দেব, তবে শেখ হাসিনার অধীনে নয় : রেজা কিবরিয়া

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২২ | ৮:০১ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২২ | ৮:০১ অপরাহ্ণ
৩০০ আসনেই প্রার্থী দেব, তবে শেখ হাসিনার অধীনে নয় : রেজা কিবরিয়া

গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে ৩শ’ আসনেই গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী দেব। তবে শেখ হাসিনার অধীনে বা আমলে কোনো নির্বাচনে নয়।’ গত শনিবার (১৬ জুলাই) ‘বাংলাদেশ প্রোগ্রেসিভ এলায়েন্স অব নর্থ আমেরিকা’র (বিডিপানা) ব্যানারে যুক্তরাষ্টের বস্টনে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়েলসটন হলের ফং মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চ্যালেঞ্জ ও উপায়’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমাদের গণঅধিকার পরিষদ এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য’র মতো সংগঠনগুলো হচ্ছে সত্যিকারের বিরোধী দল। আর দালাল বলতে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মতো দলগুলো। বাছ-বিচার করে আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকল্পে কোন দলকে অর্থ ও সাংগঠনিক সহায়তা দেবেন। এই সময়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় তহবিল একটি বড় ফ্যাক্টর। বারাক ওবামার স্টাইলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংকের অর্থ সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। বিকাশের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা জোগাড় হয়েছিল আমাদের। কিন্তু সেটিও সরকার সীজ করেছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে কিছু পোলাপান নিয়ে কাজ করছিলাম বলে অনেকের আস্থা তেমনভাবে পাইনি। সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে ব্রিগ্রেডিয়ার, কর্নেল, মেজর, ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক, ব্যাংকার, অবসরপ্রাপ্ত পেশাজীবী, জজ সাহেবদের দলে টানছি। এ মুহূর্তে দরকার হচ্ছে তহবিল। তাহলেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা সহজে পূরণ হবে। কারণ, আন্দোলনের জন্যে গ্রামগঞ্জে জনমত তৈরির জন্যও অর্থের প্রয়োজন হয়। সাংগঠনিক টিমের খরচ সংগ্রহ করতে প্রবাসীরাও এগিয়ে যাবেন বলে আশা করছি।’

ড. রেজা বলেন, ‌‘বাংলাদেশের ব্যবসায়ী-বিত্তশালীরা আমাদের চাঁদা দিতে ভয় পায়। সরকারের দমন-পীড়নের ভয়।’ ‘আমি বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে বড় বড় পদ-পদবি ছেড়ে দেশে ফিরে গেছি শুধু দেশের মানুষের সেবা করার উদ্দেশ্যে। আমার মনে হয়েছে, নিজ দেশের জনগণের জন্য কাজ করার সময় এসেছে। গণফোরাম ছেড়ে দিলেও আমার বাবা শাহ এএমএস কিবরিয়ার মতো আমিও জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে আমি তাদের সঙ্গে কাজ করে যাব।’

মহাসংকটে পড়া দেশ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট দুপুরের খাবার খেতে বাসার গিয়ে আর অফিসে ফিরে আসতে পারেননি। সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়েছিল হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। এরপর থেকে মূলত আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তবে বাংলাদেশেও এমন ঘটনা আস্বাভাবিক কিছু না।’

আজাদ খানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রোগ্রেসিভ এলায়েন্স অব নর্থ আমেরিকার (বিডিপানা) সাধারণ সম্পাদক তানভির নেওয়াজ। তিনি তার বক্তব্যে দেশে বিভিন্নখাতে সরকারের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৃহৎ সেতুর নির্মাণ খরচের কথা তুলে ধরে পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যাপকহারে দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করেন তানভির। বিডিপানার প্রতিষ্ঠাতা মোয়াজ্জেম কাজী, সদস্য মাহমুদ রহমান এবং সাজ্জাদ হোসেনসহ সদস্যসহ বেশকিছু প্রবাসী এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, ২৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন রেজা কিবরিয়া। এটা তার ব্যক্তিগত সফর। মূলত চিকিৎসার জন্য তিনি গিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট