গেলো কয়েক বছর করোনায় বিশ্ব ইজতেমা ম্লান করে দিলেও এবার লাখো মানুষের পদভারে মুখর হয়ে উঠেছে তুরাগ নদীর পাড়। আল্লাহর নৈকট্য লাভ, বিশ্বের হানাহানি বন্ধ এবং বিশ্ব উম্মার শান্তি কামনায় দোয়া করবেন মুসল্লিরা।
শুক্রবার ( ১৩ জানুযারি) ফজরের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের ইজতেমা। কিন্তু মানুষের ঢল দেখে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) যোহরের পর কাকরাইল সূরাহ সদস্য মাওলানা রবিউল হক সাহেবের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমা।
ঘন কুয়াশা কিংবা শীত, কোনো কিছুই বাধা হতে পারেনি আল্লার নৈকট্য লাভের ইচ্ছের কাছে। তাইতো লাখো মানুষের পদভারে মুখর তুরাগের ১৬০ একর এলাকা।
বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের সংখ্যাও বেড়েছে। ধীরে ধীরে ভরে উঠেছে ইজতেমার মাঠ। শুধু আজ না, কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় তুরাগমুখী জনস্রোত। বুধবার রাতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় ইজতেমার মূল ময়দান।
ইজতেমা মাঠ ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস-ট্রাকে ইজতেমায় যোগ দিতে মুসল্লিরা তুরাগতীরে এসেছেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা আর সব মানুষের মঙ্গলের জন্য দোয়া চাইছেন।
এদিকে, লাখো মানুষের ঢল মাঠ উপচে গিয়ে পড়েছে আশপাশের সবগুলো সড়ক-মহাসড়কে। যে কারণে যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে বহু মানুষকে। ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময়ও লাগছে।
যদিও পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রাফিক পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত আছে। কিন্তু আবদুল্লাপুর-টঙ্গী সড়কে নির্মাণকাজ চলমান থাকায় সড়ক সংকুচিত। ফলে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
ইতোমধ্যেই যারা মাঠের ভেতর পৌঁছাতে পেরেছেন তারা জেলা ভিত্তিক স্থান বা খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। নিজেদের থাকা ও খাবারের সব ব্যবস্থা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন তারা।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫৬তম ইজতেমার প্রথমপর্ব। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ২০ জানুয়ারি। চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আইআই