সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ল অর্ধশত ঘর

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২:২৪ অপরাহ্ণ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২:২৪ অপরাহ্ণ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ল অর্ধশত ঘর

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর রাত আড়াইটার দিকে বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুড়ে গেছে অন্তত ৩০টি রোহিঙ্গা বসতি। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো অন্তত অর্ধশতাধিক ঘর এমনটি নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএন কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি আমির জাফর।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট প্রায় ৩০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল ১০টা পর্যন্ত হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ভোররাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত যায়। খুব দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ২৫-৩০টি ঘর পুড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো অর্ধশত মতো ঘর। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

৮ এপিবিএনের অধিনায়ক আমির জাফর বলেন, আগুনে ২৫-৩০টি ঘর পুড়েছে। আশপাশের ঘরে যেন আগুন না লাগে অনেক ঘর টেনে নামিয়ে ফেলা হয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অগ্নিকাণ্ডস্থলের আশপাশের অর্ধশতাধিক ঘর। আগুন কীভাবে ছড়াল খোঁজ নিচ্ছি আমরা। অগ্নিকাণ্ডটি পরিকল্পিত নাকি দুর্ঘটনা সেই রহস্য উদ্‌ঘাটনে তৎপরতা অব্যাহত আছে। ঘটনাস্থলে অবস্থান রয়েছে এপিবিএন সদস্যদের।

নিরাপত্তার স্বার্থে এপিবিএন’র অনড় অবস্থান রয়েছে এবং আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, শেষ হওয়া বছরের ৫ মার্চ একই ক্যাম্পের অন্য একটি ব্লকে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় দু’ হাজার ২০০ ঘর, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে ২০২১ সালের ২২ মার্চ তিনটি ক্যাম্পে এক সঙ্গে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় ১১ জনের মৃত্যু ও ৫ শতাধিক আহত হন। পুড়ে গিয়েছিল ৯ হাজারের বেশি ঘর। বছরের শেষ রাতে এসে আগুন লাগার বিষয়টিও তাই রহস্যময় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্পর্কিত পোস্ট