বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশি এয়ারলাইনসের রাজস্ব বকেয়া ৩২ কোটি ডলার

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১:৩৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
বিদেশি এয়ারলাইনসের রাজস্ব বকেয়া ৩২ কোটি ডলার

বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো তাদের টিকিট বিক্রির অর্জিত অর্থ নিজ দেশে নিতে পারছে না। এর কারণ হচ্ছে দেশে ডলার সংকট। আটকে থাকা এ অর্থের পরিমাণ ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত এক বছরেরও কম সময়ে এই অর্থের পরিমান ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায় সমস্যায় পড়ছে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসগুলো। শিগগিরই রাজস্ব পরিশোধ না করা হলে দেশে সংস্থাগুলো পরিষেবা প্রদান সংকুচিত করতে বাধ্য হবে বলে জানয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আয়াটা)।

আয়াটার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বুধবার বলা হয়, এয়ারলাইনের অর্থ আটকে পড়া দেশগুলোর তালিকায় প্রথমস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে আটকে আছে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশে আটকে রয়েছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার (৩ হাজার ৫৩৯ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা)। বকেয়া অর্থ পরিশোধে সরকারকে তাগাদাও দেওয়া হয়েছে।

আয়াটা হচ্ছে বিশ্বের প্রথম সারির ৩২০টি এয়ারলাইনস সেবাদানকারী সংস্থার জোট। বিশ্বের মোট বিমানযাত্রীর ৮৩ শতাংশকে পরিবহন পরিষেবা দেয় আয়াটা অন্তর্ভুক্ত এসব এয়ারলাইনস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকিট বিক্রিসহ নানা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে এয়ারলাইনসগুলো। পরবর্তীতে সেখান থেকে আয় হওয়া রাজস্ব নিজ দেশে নিয়ে যায়। যার মধ্যস্থতা করে আয়াটা। ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই জোটের সদর দফতর কানাডার মন্ট্রিয়েলে।

আয়াটা এশিয়া প্যাসিফিক শাখা জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিষেবা সংস্থার রাজস্ব আটকে থাকার বিষয়টি বর্তমানে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে। আয়াটা এশিয়া প্যাসিফিক কার্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ গোহর বলেন, এয়ারলাইনস সংস্থাগুলোকে উড়োজাহাজ লিজের অর্থ পরিশোধ, যন্ত্রাংশ, জ্বালানি তেলসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন ব্যয় ডলারে পরিশোধ করতে হয়; আর এসব ব্যয় নির্বাহের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে আয় হওয়া রাজস্বের অপর নির্ভর করে সংস্থাগুলো। তাই দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব বকেয়া থাকলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় বিমান পরিষেবা কোম্পানিগুলোকে। এছাড়া রাজস্ব পেতে বিলম্ব হলে মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

এক বিবৃতিতে ফিলিপ গোহর বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারি যে করোনা মহামারির পর থেকে বিভিন্ন দেশ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে ব্যাপক চাপে রয়েছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানও রয়েছে সেসব দেশের তালিকায়। কিন্তু আমরা নিরুপায়। কারণ চুক্তি অনুযায়ী রাজস্ব প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত বিলম্ব করা (চুক্তির) প্রাথমিক শর্তের লঙ্ঘন। যদি শিগগিরই রাজস্ব পরিশোধ না করা হয়, তাহলে এ দুটি দেশে পরিষেবা প্রদান সংকুচিত করতে বাধ্য হবে সংস্থাগুলো।’

বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর অর্থ আটকে থাকা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট