বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিএসএমএমইউয়ে চালু হবে মেডিকেল জেনেটিক বিভাগ

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫:০১ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫:০১ অপরাহ্ণ
বিএসএমএমইউয়ে চালু হবে মেডিকেল জেনেটিক বিভাগ

অধিকতর গবেষণার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মেডিকেল জেনেটিক বিভাগ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে জেনেটিক অ্যানালাইসিস ও জিনোম সিকোয়েন্সিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবদেহের জেনেটিক্যাল ডিজঅর্ডার চিহ্নিত করতে পারলে রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হবে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগে আয়োজিত ‘ডেভলপমেন্ট অব আউটকাম বেইজড কারিকুলাম ইন মেডিকেল সায়েন্সেস ফর পোস্ট গ্রাজুয়েট এমডি রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম অ্যাট বিএসএমএমইউ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন রোগের সঙ্গে জেনেটিক্যাল বিষয় সম্পর্কিত। নিউরোলজি, চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অনেক রোগের সঙ্গেও জেনেটিক্যাল ফ্যাক্টর জড়িত রয়েছে। গবেষণা ও চিকিৎসায় জিন থেরাপি, স্টেম সেল থেরাপিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে হলে এবং অধিকতর গবেষণার জন্য মেডিকেল জেনেটিক বিভাগ চালু করা সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট ও ইউজিসির অনুমিত পেলে আমরা খুব শিগগিরই মেডিকেল জেনেটিক বিভাগ চালু করবো। বিভাগটি চালু হলে উন্নত গবেষণা সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।

উপাচার্য বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দেশের তরুণদের আগ্রহ রয়েছে। তাদের জন্য আমরা যথাযথ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আসন্ন অ্যান্টিবায়োটিক রেসিট্যান্স মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা ও জটিলতা থেকে উত্তরণ পাব।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু। উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে, নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব হেলাল, কানাডার অনটারিও টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল এডুকেশন বিভাগের ফ্যাকাল্টি ডা. সাদাৎ মোহাম্মদ নুরুন্নবী, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট ডা. নাসরিন বেগম সীমা প্রমুখ, অ্যানাটমি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।

সম্পর্কিত পোস্ট