শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-জর্জিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০তম বার্ষিকী উযাপন

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২২ | ৪:৫৫ অপরাহ্ণ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ | ৪:৫৫ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ-জর্জিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০তম বার্ষিকী উযাপন

তুরস্কের আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জর্জিয়ার স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী, জাতীয় দিবস, বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) জর্জিয়ার রেডিসন ব্লু হোটেলে উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করা হয়।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে তুরস্ক বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান মিজ শাহ্নাজ গাজীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জার্জিয়ার প্রথম ডিপুটি স্পিকার জর্জি ভোলসকি, জর্জিয়া-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডসিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. গিওরগি আমিলাখভারি, ডিপুটি ফরেন মিনিস্টার ভিলাদিমির কনস্টানটিনিডি, মেম্বার অব পার্লামেন্ট মিকাইল সার্জভেলাটজে।

এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও অনারারি কন্সাল, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। হোটেলের প্রবেশ গ্যালারিতে বাংলাদেশের পর্যটন ও উন্নয়নের উপর আলোক চিত্র-প্রদর্শনী প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সক্রিয় প্রচেষ্টার তুলে ধরেন। তিনি বর্তমান বাংলাদেশের সব মানদন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিষয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করেন।

জার্জিয়ার প্রথম ডিপুটি স্পিকার জর্জি ভোলসকি বক্তব্যে দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের অবদানের প্রশংসা করে করেন তিনি।

পরে স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী, জাতীয় দিবস, বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ-জর্জিয়া মৈত্রী কেক কাটা হয়। এই পর্বে অংশ নেন জার্জিয়ার জর্জি ভোলসকি, জর্জিয়া-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডসিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. গিওরগি আমিলাখভারি, ডিপুটি ফরেন মিনিস্টার ভিলাদিমির কনস্টানটিনিডি, মেম্বার অফ পার্লামেন্ট মিকাইল সার্জভেলাটজে, রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান ও তার সহধর্মীণি অধ্যাপক ড. নুজহাত আমিন মান্নান ও জর্জিয়ার ব্যবসায়ীরা।

অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ দূতাবাসের নাম অঙ্কিত কলম, ফ্লাস কার্ড, নকশিকাঁথা ও বাংলাদেশের ইতিহাস, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, জর্জিয়া ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর একটি ব্রোশিওর সব আমন্ত্রিত অতিথিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট