বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, এথেন্স বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা নিয়া মানোলাদায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিকও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলায়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর পদ্মা সেতুর উপর নির্মিত তথ্যমূলক ভিডিও চিত্রও প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের ধারাবাহিকতায় ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন একটি স্বপ্নের উন্মোচন’- এই বিষয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনাপর্বে বক্তারা পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ তাঁর বক্তব্যে- প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের এই দিনটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরইতিহাসে চির ভাস্বর হয়ে থাকবে। সম্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এই সেতু আমাদের জাতীয় সক্ষমতার পরিচয় বাহক এবং অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাইলফলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সেতু আমাদের দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে যুগান্তকারী অবদান রাখবে এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর দূরত্ব কমাবে এবং উভয় অঞ্চলের গণমানুষের মধ্যে পারস্পরিক আন্তঃযোগাযোগ বেগবান হবে। এতে করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অহংকার। এটা আমাদের আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠার সোপান হিসেবে ইতিহাসে স্থান পাবে। দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সেতুটি বিনির্মাণ করে শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে এখন এই দেশ আর কারোতল্পিবাহক কিংবা ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নয় বরং উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত গ্রিস প্রবাসী সকল বাংলাদেশিদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান। পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এই উদ্যাপন অনুষ্ঠান গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার সৃষ্টি করেছে।
সবশেষে, বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি, জনগণের জান-মালেরনিরাপত্তা, দেশেরশান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
