ফ্রান্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস ফ্রান্স নানান কর্মসূচি আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী সকলের রূহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাংলাদেশ থেকে পাঠানো বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী, দৃঢ় ও আপসহীন নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে। একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্বতন্ত্র পরিচয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উচু করে দাঁড়ানোর যে দুর্লভ সম্মান বাঙালি পেয়েছে, তার জন্য সমগ্র জাতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ-চিরঋণী।
তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ড শুধু বাঙালি জাতির নয় সমগ্র পৃথিবীর জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নানান দিক তুলেন ধরেন।