বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে দুবাই গিয়ে খুন হলেন কাজলী

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১:২৭ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১:২৭ অপরাহ্ণ
পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে দুবাই গিয়ে খুন হলেন কাজলী

পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে কাজের জন্য দুবাই গিয়ে খুন হলেন কাজলী খাতুন (২৬) নামে এক নারীকর্মী। গত ১৯ এপ্রিল কর্মস্থলেই খুন হন তিনি। কাজলী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দরিদ্র ভ্যানচালক তছের আলীর মেয়ে। তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কবে লাশ দেশে ফিরবে, এখন সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে তার পরিবার।

এলাকাবাসী জানায়, গত শুক্রবার কাজলীর এক নারী সহকর্মী দুবাই থেকে মোবাইলে কাজলীর পরিবারকে মৃত্যুর খবর দেন। প্রবাসে কাজলীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা দিশাহারা হয়ে পড়েন। খবর পাওয়ার পর থেকেই তার মা ও বাবা মেয়ের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তার পিতা তছের আলী বলেন, কাজলী তার মেজো মেয়ে। কাজলী ও তার ছোট বোন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সেখান থেকে বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি ৭ মাস আগে দুবাই চলে যান।

একদিন কাজলী মোবাইলে জানান সে দুবাইয়ে আছে। ভালো কাজও পেয়েছেন সেখানে। এরই মধ্যে ৬ মাস পর দুবাই থেকে গত ৬ রোজায় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে মেয়ে কাজলী। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে ঈদ না করেই কর্মস্থলে ফিরে যান তিনি। এ মাসেও বাড়িতে টাকা পাঠানোর কথা ছিল।

তিনি আরও বলেন, ফোনে তার এক সহকর্মী জানায়- সুপারভাইজারের নিকট বেতনের বেশকিছু টাকা পেতেন কাজলী। টাকা চাওয়া নিয়ে তার সঙ্গে কাজলীর কথা কাটাকাটি হলে সুপারভাইজার লোকমান হোসেন একটি কাঁচের বোতল দিয়ে মেয়ের মাথায় আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। ওই সুপারভাইজারের শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইল। কিন্তু তার বাড়ি কোথায় তা জানেন না তিনি। আমি এর বিচার চাই। যতদ্রুত সম্ভব আমার মেয়ের লাশ ফিরিয়ে দেয়া হোক। এ বিষয়ে কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু বলেন, দুবাইয়ে কর্মস্থলে কাজলী খুন হয়েছেন বলে জেনেছি। তার লাশ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য সকল প্রকার আবেদন করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব লাশ দেশে নিয়ে আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গনি মিয়া বলেন- বিষয়টি আমি শুনেছি তবে কাজলীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে কিছু জানায়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট