রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

নো-ভিসা প্রাপ্তি সহজ করার দাবি বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের

প্রকাশ: ৮ মার্চ ২০২২ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ আপডেট: ৮ মার্চ ২০২২ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ
নো-ভিসা প্রাপ্তি সহজ করার দাবি বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের

কানাডায় বাংলাদেশ দূতাবাসে অভিবাসীরা পাসপোর্ট, ভিসা, নো-ভিসা পেতে অনেক জটিলতা ও ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। এর প্রতিবাদে ‘বাংলাদেশি কানাডিয়ান নাগরিক অধিকার ফোরাম’ উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৬ মার্চ) কানাডার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত অনেক প্রবাসী নাগরিক নো-ভিসা প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তিতে তাদের দুর্ভোগ ও হয়রানির কথা ক্ষোভের সঙ্গে তুলে ধরেন। কেউ কেউ অনলাইন আবেদনে সার্ভারে সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। নতুন পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট নবায়নে ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব লিংক প্রদান বাধ্যতামুলক করার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এটা মানবাধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতার পরিপন্থী।

অনেকেই বলেন, আমরা বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাই। আমাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ সরকারও প্রবাসীদর জন্য নানা ধরনের কল্যাণমূলক ও প্রণোদনামুলক কর্মসূচি গ্রহণ করছে। তবে কানাডার বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তাদের করা নিয়মে নো-ভিসা প্রদানে জটিলতার কারণে অনেক ব্যক্তি-পরিবার দেশ যেতে পারছেন না। মৃত্যুপথযাত্রী অসুস্থ বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজদের পাশে থাকতে পারছেন না।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কানাডার বাংলাদেশ দূতাবাসের সেবায় পূর্বের যে ধারা-মান বজায় ছিল তা অবিলম্বে পুনরায় চালু করতে হবে। নো ভিসা প্রদানে, পাসপোর্ট করণ, নবায়নে ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানে কোনো ধরনের জটিলতা, আমলাতান্ত্রিক ও দুর্ভোগ গ্রহণযোগ্য নয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে হাইকমিশনারকে নিম্নলিখিত বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়-

১. প্রবাসী বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের নো-ভিসা প্রাপ্তি পূর্বের ন্যায় অবিলম্বে সহজ করা হোক।
২. পূর্বের কানাডিয়ান পাসপোর্টে নো-ভিসা সিল থাকলে পুনরায় তাদের নতুন পাসপোর্টে ভিসা দিতে হবে।

৩. দূতাবাসের সেবা অনলাইন সহজীকরণ করা, সার্ভারে সার্বক্ষণিক অ্যাকসেস এবং অফিসের সময়সূচিতে ফোন সার্ভিস সেবা রাখতে হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও আবেদনের ব্যবস্থা রাখা হোক।

৪. পাসপোর্ট নবায়ন ও নতুন পাসপোর্ট আবেদন/প্রাপ্তি সহজ করতে হবে। এবং
৫. বাধ্যতামূলক ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব লিংক নিয়ম বাতিল করতে হবে।

সভায় আলোচনায় অংশ নেন আহাদ খন্দকার, শওগাত আলী সাগর, এম আর জাহাঙ্গীর, লিটন মাসুদ, নওশের আলী, আহমেদ হোসেন, ড. মঞ্জুরে খোদা, মাহবুব চৌধুরী রনি, সাদ চৌধুরী, ফারজানা চৌধুরী বিন্দু, হাজি সেলিম, সুমন জাফর, আপন কাজী, শেখ আশফাক দুলাল, রেজা সাত্তার, ড. হানিফ, মিসবাউল কাদের ফাহিম, রিফাত চৌধুরী, হুমায়ুন কবীর, দীন ইসলাম, বাবলু চৌধুরী, হাবিব চৌধুরী মারুফ, মকবুল হোসেন মঞ্জু, আহমেদ হোসেন লনি, আমিনুর চৌধুরী বাবু, রাফি চৌধুরী, সাকিল আহমেদ, ইউসুফ তালুকদার, সৈয়দ মাহবুব, একেএম সেলিম, ফরহাদ নাঈম, আজমল মিয়া, দেওয়ান হক, রফিক প্রমুখ।

সংলাপ/০৩/০৮/০০২ আজিজ

সম্পর্কিত পোস্ট