সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে ইচ্ছুক ‘পাঠাও’

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৩ | ১১:১৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৩ | ১১:১৩ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে ইচ্ছুক ‘পাঠাও’

ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করেছে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‌‌‍‘পাঠাও’।

শনিবার (১৯ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, পাঠাও ডিজিটাল ব্যাংক, পাঠাওয়ের এক কোটি তরুণ ভোক্তা এবং পাঁচ লাখ ড্রাইভার, ডেলিভারি এজেন্ট ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জীবনমান প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পরবর্তী অধ্যায়।

তারা জানায়, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের যে বৃহৎ অংশ দ্রুত ঊর্ধ্বগামী ও ডিজিটাল জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তাদের বেশিরভাগ ইতিমধ্যেই পাঠাওয়ের নিয়মিত ব্যবহারকারী। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের অর্থনৈতিক খাতে অবদানকারী এই জনগোষ্ঠীর চাহিদাগুলো অবহেলিত থেকে যায়। ঋণ গ্রহণের জন্য তাদের পর্যাপ্ত যোগ্যতা ও চাহিদা থেকে থাকলেও এজন্য তাদেরকে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়, কেননা প্রচলিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই ভোক্তাদের প্রযুক্তি-নির্ভর কম পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসার, যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত বিতরণ ব্যবস্থা, ডেটা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাব রয়েছে।

সমৃদ্ধ গ্রাহক ডেটা, উন্নত অ্যানালিটিকস ও উচ্চপর্যায়ের প্রকৌশল ক্ষমতা থাকার ফলে পাঠাও এই নির্দিষ্ট অংশটির আর্থিক সমস্যার সমাধানে বিশেষ উদ্ভাবনী পদ্ধতি নিয়ে এসেছে, যার একটি নমুনা ‘পাঠাও পে লেটার’– বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ ‘বাই নাও পে লেটার (বিএনপিএল)’ সলিউশন।

ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স পাঠাওকে এমন একটি রেগুলেটরি কাঠামোর সুবিধা দেবে, যার মাধ্যমে এর সকল ভোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো যেভাবে চায় সেভাবেই লেনদেন করতে পারবে, যখন প্রয়োজন তখনি অর্থায়ন করতে পারবে এবং যেভাবে উচিত সেভাবেই তহবিল পরিচালনা করতে পারবে ।

পাঠাওয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, ‌‘পাঠাও শুধুমাত্র একটি ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট নয়, এটি একটি লাইফস্টাইল। শহুরে যাতায়াত ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের গিগ ইকোনমির ক্ষেত্রে পাঠাও এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে; এবার পাঠাও ডিজিটাল ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকেও আমূলে বদলে দেবে। আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে আমরা ক্যাটালিস্টের ভূমিকা পালন করবো।’

সম্পর্কিত পোস্ট