বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

টানেল ধসে আটকা ৪০ শ্রমিক, সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১:৩১ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১:৩১ অপরাহ্ণ
টানেল ধসে আটকা ৪০ শ্রমিক, সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা

ভারতের উত্তারখণ্ড রাজ্যে একটি টানেল ধসে তার ভেতরে আটকা পড়েছেন অন্তত ৪০ জন শ্রমিক। গত রোববার স্থানীয় সময় সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে অবস্থিত টানেলে এই ধসের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই তাদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনো তাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, শ্রমিকেরা যে জায়গায় আটকে পড়েছেন তার আশপাশের প্রায় ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে পাথর ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ধারকারীদের সেই পাথর সরিয়ে বা কেটে সুড়ঙ্গ তৈরি করে এগিয়ে যতে হচ্ছে। ওই শ্রমিকেরা আটকে পড়ার ৪৮ ঘণ্টা পর হয়ে গেলেও এখনো তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আটকে পড়া শ্রমিকদের বেশির ভাগই বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলের অভিবাসী।

উদ্ধারকারীরা বর্তমানে যে অবস্থানে রয়েছেন, সেখান থেকে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে হলে আরও অন্তত ৪০ মিটার সুড়ঙ্গ খোঁড়া প্রয়োজন ছিল। তবে এরই মধ্যে পাথর ও টানেলের বিধ্বস্ত স্ল্যাব সরিয়ে ২১ মিটার পথ পরিষ্কার করা হয়েছে। আরও ১৯ মিটার পথ এখনো পরিষ্কার করতে হবে। উদ্ধারকারীরা সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সেখানে প্রায় ৩ ফুট ব্যাসের একটি পাইপ স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছেন। যাতে করে এই পাইপের মধ্য দিয়ে টানেলে আটকে পড়া লোকদের বের করে আনা সম্ভব হয়।

এরই মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের এক কর্মকর্তা।

ঘটনাস্থলের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই ভিডিওগুলো থেকে দেখা গেছে—কংক্রিটের বিশাল স্তূপ টানেল অবরুদ্ধ করে রেখেছে। টানেলের এর ভাঙা ছাদ থেকে ধাতব কাঠামো নিচে নেমে এসে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে আরও বাধার সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় দুর্যোগ পরিষেবা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শ্রমিকেরা মূলত একটি বাফার জোনে আটকে পড়েছেন। তাঁরা এখনো সুস্থ রয়েছেন। টানেলের পানির পাইপলাইনে করে খাবার ও অক্সিজেন ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁরা যেখানে আটকে পড়েছেন সেখানে প্রায় ৪০০ মিটার এলাকা রয়েছে হাঁটাচলা ও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে আটকে পড়াদের কাছে ওয়াকিটকি পাঠানো হয়েছে। তার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে অবস্থিত এই টানেলটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিধসের কারণেই এই টানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট