শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

চীনে ‘ইয়ুথ সেলুনে’ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২২ | ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ | ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ
চীনে ‘ইয়ুথ সেলুনে’ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অংশগ্রহণে ‘উন্নয়নের জন্য সংহতি এবং শান্তির দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা’ প্রতিপাদ্যে ১১তম চীন-দক্ষিণ এশিয়া আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক ফোরামের ‘ইয়ুথ সেলুন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইয়ুথ সেলুনে তরুণ প্রতিনিধিরা ‘আঞ্চলিক উন্নয়ন’ এবং ‘জনগণের মধ্যে বন্ধন’ এ দুটি বিষয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ১১তম চীন-দক্ষিণ এশিয়া আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক ফোরামের ইয়ুথ সেলুন ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত হয়।

ইয়ুথ সেলুনটি চাইনিজ পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজ (সিপিএএফএফসি) এবং ইউনান প্রাদেশিক জনগণের সরকারের উদ্যোগে ইউনান প্রভিন্সিয়াল পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজ এবং কুনমিং মিউনিসিপাল পিপলস গভর্নমেন্ট আয়োজন করে।

ইয়ুথ সেলুনে বাংলাদেশ থেকে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত শিক্ষার্থীরা হলেন, চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম, সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মো. সাদ্দাম হোসেন, ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মো. তরিকুল ইসলাম।

চাইনিজ পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজের সভাপতি রাষ্ট্রদূত লিন সোংথিয়ান, চীনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মইন উল হক, ইউনান প্রাদেশিক পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ডেপুটি ডিরেক্টর লুও হংচিয়াং, চীনে শ্রীলঙ্কার দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কে. কে.যোগানদান উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন।

উদ্বোধনী অধিবেশনের বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত লিন সোংথিয়ান বলেন, চীন এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ভৌগলিকভাবে সংযুক্ত এবং সাংস্কৃতিকভাবে একই রকম। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় উভয় দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠতে একে অপরকে সাহায্য করেছে; যৌথভাবে মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে।

তিনি আশা করেন, চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার তরুণরা পরিস্থিতিকে স্পষ্টভাবে চিনবে; “এশিয়া এক পরিবার” ধারণার অনুশীলন করবে; সক্রিয়ভাবে ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচার বজায় রাখাসহ একটি শান্তিপূর্ণ, সহযোগিতামূলক, ঐক্যবদ্ধ এশিয়া এবং বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা করবে।

চীনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মইন উল হক তার আলোচনার শুরুতে সম্প্রতি পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত চীনা নাগরিকদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সংলাপের প্রচার, আদর্শিক বৈচিত্র্যের প্রচার এবং বোঝাপড়া ও সহযোগিতার সেতু নির্মাণের জন্য আন্তঃসাংস্কৃতিক আদান-প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “ইয়ুথ সেলুন” প্ল্যাটফর্মে ইতিবাচক মন্তব্য চীনা-দক্ষিণ এশীয় যুবকদের “এশিয়ান স্পিরিট” গভীরভাবে বুঝতে, ভুল বোঝাবুঝি এবং বাধা দূর করতে, আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রাখতে উৎসাহিত করবে।

আঞ্চলিক উন্নয়ন সেশনের সভাপতিত্ব করেন চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হু চিনমিং। পিপল টু পিপল এক্সচেঞ্জ সেশনের সভাপতিত্ব করেন, ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এবং চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির বিভাগের প্রধান ডক্টর অভিজিৎ ব্যানার্জি।

চাইনিজ পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিস এর সাংস্কৃতিক বিনিময় বিভাগের মহাপরিচালক ঝু ডান ইয়ুথ সেলুনে সমাপনী বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও নেপালের ২০০ জনেরও বেশি যুব প্রতিনিধি, শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধি, কূটনীতিক, স্কলারস, বিশেষজ্ঞ এবং পেশাজীবীরা ইয়ুথ সেলুনে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও, ইউনান প্রাদেশিক জনগণের সরকারের সরকারি কর্মকর্তারা ও কর্মচারী, চাইনিজ পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিস এবং ইউনান প্রভিন্সিয়াল পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিস-এর কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা ইয়ুথ সেলুনে অংশ নেন।

সম্পর্কিত পোস্ট