শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কোটি কোটি টাকার জিনিসপত্র ফেরত দিয়ে পুরস্কার পেলেন দুবাইয়ের ১০১ গাড়িচালক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | ৮:২১ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | ৮:২৪ অপরাহ্ণ
কোটি কোটি টাকার জিনিসপত্র ফেরত দিয়ে পুরস্কার পেলেন দুবাইয়ের ১০১ গাড়িচালক

গাড়িতে চড়তে গিয়ে আমরা অনেক সময় ভুলে অনেক জিনিসপত্র ফেলে চলে যাই। পরে এসব অনেক খোঁজাখুজি করেও এসব ফিরে পাওয়া সম্ভব হয় না। তবে এভাবে ফেলে যাওয়া অনেক জিনিসপত্র ফেরত দিয়ে সততার প্রমাণ দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরের ১০১ গাড়িচালক। আর তাইতো তাদের সততার স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার দিতে ভুলেনি দুবাইয়ের সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত পরিচালিত এক পর্যবেক্ষণে সততার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

চালকদের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া মূল্যবান জিনিসপত্রগুলো হলো- একটি কালো ব্যাগে থাকা ১০ লাখ দিরহাম মূল্যের হীরা, ৬০ লাখ দিরহাম, প্লাস্টিকের ব্যাগে থাকা ২ লাখ দিরহাম মূল্যের স্বর্ণ, একটি দামি হ্যান্ডব্যাগ, ৫০ হাজার ডলার মূল্যের ঘড়ি, ১ লাখ ৮৩ হাজার দিরহাম, কালো ব্যাগে থাকা ২ লাখ দিরহাম, ৬০ হাজার ডলার মূল্যের ঘড়ি ও ২ লাখ ২১ হাজার দিরহাম।

গণপরিবহণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ বাহরোজিয়ান বলেন, চালকদের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান জিনিসপত্র ফেরত পাওয়া প্রত্যেকের জন্য আনন্দের উৎস। তারা সততা, নীতিনিষ্ঠা ও ভালো আচরণের মাধ্যমে দায়িত্বের চমৎকার উদাহরণ স্থাপন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, চালকদের এমন আচরণ শুধুমাত্র তাদের ব্যক্তিত্বের প্রকৃত চরিত্রই প্রকাশ করে না, সেই সঙ্গে দুবাইয়ের পরিবহন ব্যবস্থার একটি ইতিবাচক চিত্রকেও তুলে ধরেছে।

সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ চালকদের সততাকে অনুপ্রাণিত করতে এ সম্মাননা দিয়েছে। তারা নিজেদের পেশার একটি দুর্দান্ত উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। যা তাদের কর্মক্ষমতাকে ইতিবাচকভাবে প্রতিফলিত করেছে বলেও যোগ করেন ওই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমিরাতে ট্যাক্সি পরিষেবার মানকে উন্নত হিসেবে তুলে ধরেছে। এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে সুখী শহর হিসেবে এর খ্যাতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অতিথি ও বাসিন্দাদের প্রতি দুবাইয়ের প্রতিশ্রুতিরই দৃষ্টান্তও বটে।

বাহরোজিয়ান বলেন, দুবাইয়ের গণপরিবহন ব্যবহারকারীরা চালকদের এমন সততার প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। প্রতিক্রিয়া তারা জানান, উত্তম নৈতিকতার এমন উদাহরণ শুধুমাত্র চালকদের সততাই তুলে ধরে না বরং তাদের কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক আলোও ফেলে।

সম্পর্কিত পোস্ট