মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

গাজায় ইসরায়েলের হামলা রুখতে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: এরদোয়ান

প্রকাশ: ৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯:২৭ অপরাহ্ণ আপডেট: ৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯:২৭ অপরাহ্ণ
গাজায় ইসরায়েলের হামলা রুখতে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: এরদোয়ান

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা বন্ধ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

সোমবার সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানিয়েছেন এরদোয়ান।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৈঠকে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের কাছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আরও কার্যকর যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এরদোয়ান।

এছাড়াও দুই নেতা তুর্কি-সৌদি আরব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করেছেন বলেও জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।

প্রসঙ্গত, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে উগ্র সমালোচকদের একজন হলেন এরদোয়ান। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে অভিহিত করেছেন এবং গাজায় গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করার পশ্চিমা অবস্থান প্রত্যাখ্যান করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

এছাড়াও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে যুদ্ধাপরাধ করছে তার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নাৎসিদের সঙ্গে তুলনা করেছেন এরদোয়ান।

প্রতিক্রিয়া নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, তিনি এরদোয়ানের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেবেন না, কারণ ‘কুর্দি এবং সমালোচকদের বিরুদ্ধে চাপ ব্যবহার করার অভিযোগে তার নিজের দেশে সমালোচিত এরদোয়ান।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

প্রায় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও ৭৬ হাজার আহত হয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনির মধ্যে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে

সম্পর্কিত পোস্ট