শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে পাবলিক টয়লেটে উদ্বিগ্ন পরিস্থিতিতে নারীরা।

প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২২ | ১২:১৪ অপরাহ্ণ আপডেট: ৬ আগস্ট ২০২২ | ১২:১৪ অপরাহ্ণ
কেরানীগঞ্জে পাবলিক টয়লেটে উদ্বিগ্ন পরিস্থিতিতে নারীরা।

কোরানীগঞ্জ, ঢাকা: কেরানীগঞ্জের কদমতলি গোল চত্ত্বর সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটে সামনে সিগারেটের দোকান। টয়লেটটি নারী-পুরুষ সবার জন্য উন্মুক্ত হলেও টয়লেটের সামনে দোকান থাকার কারণে পুরুষরা এখানে এসে পান-সিগারেট খায় আর চেয়ারে বসে আড্ডা দেয়। ফলে নারীদের টয়লেটে যেতে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, পুরুষরা টয়লেটের সামনে প্রকাশ্যে ধূমপান করায় অনেকেই প্রয়োজনের সময় যেতে পারছেন না। কেউ বা গেলেও এ পরিস্থিত দেখে সেখান থেকে ফিরে আসছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, পাবলিক টয়লেটের দরজার সামনেই সিগারেটের দোকান ও সিসি ক্যামেরা লাগানো। দোকানটিকে ঘিরে পুরুষ ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায় সব সময়। তাদের পাশ দিয়েই মলমূত্র ত্যাগ করতে ভেতরে যাচ্ছেন টয়লেট ব্যবহারকারীরা। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে দেখা যায় টয়লেট ব্যবহারকারী নারীদের। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে উপজেলায় গত ১৯ মে পাবলিক টয়লেটের কার্যক্রম শুরু হয়। যা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের আঞ্চলিক শাখার সদস্য জয়নাল আবেদীন ডালিম।

পলি আক্তার নামে এক পথচারী জানান, পাবলিক টয়লেটের সামনে চেয়ারে বসে একাধিক পুরুষ গল্প আড্ডা সঙ্গে সিগারেট ফুঁকছেন। অনেক নারীই লোকলজ্জার কিংবা অস্বস্তিতে ভোগায় কাউকে কিছু বলেন না। অনেকে আবার এ অবস্থা দেখে টয়লেটে যাওয়া থেকে বিরত থাকছেন। এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রুমানা বেগম নামের আরেক নারী বলেন, আমি কয়েকবার টয়লেটের সামনে যেতে চেয়ে ফিরে এসেছি। পাবলিক টয়লেটের সামনে সিগারেটের দোকান, চেয়ারে বসে পান-সিগারেট খাওয়া। এর প্রতিকার হওয়া দরকার, এবিষয় কতৃপক্ষে উচিত পদক্ষেপ নেওয়া।

সিগারেটের বিক্রেতা রনি বলেন, আমি এখানে চাকরি করি। টয়লেট দেখাশোনার পাশাপাশি সিগারেটের দোকানটিও চালাই। টয়লেট ব্যবহারে বিষয় জানতে চাইলে জানান, প্রশাব করলে পাঁচ টাকা, পায়খানা করলে দশ টাকা এবং গোসল করার জন্য সুব্যবস্থা আছে।

সিগারেট পান করতে আসা এনামুল হাসান নামে ব্যবসায়ী বলেন, টয়লেটের সামনে দোকান, এটা দেখতে খুবই খারাপ, রুচিহীন। এখানকার পরিবেশ কিছুটা ভালো হলেও এমনটা কাম্য নয়। তিনি আরও বলেন, মহিলা টয়লেটের সামনে সিসি ক্যামেরা থাকায় মহিলাদের টয়লেট যেতে ও শিশুকে দুধ খাওয়াতেও অসুবিধা হচ্ছে।

এবিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি অবশ্যই দেখার দায়িত্ব আমার। তবে এটি আমার জানা ছিল না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং তিনি বলেন, আমিও মনে করি, যদি এমনটা হয়ে থাকে, তা মা-বোনদের জন্য অবশ্যই বিব্রতকর।

সম্পর্কিত পোস্ট