শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ

প্রকাশ: ৮ আগস্ট ২০২২ | ৩:৫৯ অপরাহ্ণ আপডেট: ৮ আগস্ট ২০২২ | ৪:০২ অপরাহ্ণ
কেরানীগঞ্জে নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ

ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার মিরেরবাগ মৌজায় রিয়াজুল ও সাদেক মেম্বার সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি কিনে বালি ভরাট করে দেয়াল নির্মাণ করে। গত রবিবার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের নারী কাউন্সিলার জান্নাতুল ফেরদৌস পুতুল ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি লেটা নাসির ওই জমিতে পাওয়ার সুত্রে মালিক একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে।

ভুক্তভোগী রিয়াজুল অভিযোগ করে বলেন ১৯৯৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রেকডিও মালিক মোহাম্মদ তোতা মিয়ার কাছ থেকে ৬৮৪০ দলিল মুলে রেজিয়া বেগম ওই সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি খরিদ করেন। ২০১২ সালে মোস্তফা, নুরু, রাব্বি ও মিথিলা আক্তার গংদের কাছে নালিশি জমি বিক্রি করে। এরপর ২০১৪ সালে উক্ত জমি আ্যডভোকেট সুলতান নাসের খরিদ করে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় গত জুলাই মাসে সুলতান নাসের ওই জমি রিয়াজুল ও সাদেক মেম্বার গংদের কাছে বিক্রি করেদেয়। রিয়াজুলরা জমিতে বালি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করে।

এসময় অভিযুক্তরা জমিতে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করে আসছে। এনিয়ে শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্য আদালতে বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগীরা । সে বিচারে ইকবাল চেয়ারম্যান দু পক্ষকে জমির মালিকানা দলিল ও নামজরি পর্চা জমা দিতে বললে রিয়াজুল গং দলিল, ডিজিটাল পর্চা ও ডিজিটাল অনলাইন খাজনা রশিদ দাখিল করেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত নারী কাউন্সিলর ও লেটা নাসির মালিকানা কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। তখন গ্রাম্য আদালত রায়দেন কাগজ যার জমি তার।

পরে অভিযুক্ত লেটা নাসির ও পুতুল গ্রাম্য আদালতের রায় প্রত্যাক্ষান করে ২০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে। বর্তমানে অস্রধারি সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি লেটা নাসিরের ভয়ে খরিদ জমিতে কাজ করতে পারছেনা। এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দৃষ্টি আকর্ষন করছে। এ অভিযোগ নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায় উক্ত জমি আমার শুশুরের। আমরা ওয়ারিশ সুত্রে এ জমির মালিক। তবে তারা কোন মালিকানা কাগজ দেখাতে পারেনি।

সম্পর্কিত পোস্ট