বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোপে আশ্রয় আবেদনের রেকর্ড

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৭:৪৫ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
ইউরোপে আশ্রয় আবেদনের রেকর্ড

২০১৫-১৬ সালের শরণার্থী সংকটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) আশ্রয় আবেদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে গত বছর। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের (ইইউএএ) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে নতুন এই রেকর্ডের তথ্য উঠে এসেছে।

এতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ব্লকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এই পরিসংখ্যানে ইউরোপের দোরগোড়ায় জেঁকে বসা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে ইইউর ওপর তৈরি হওয়া ক্রমবর্ধমান চাপ ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির হুমকিও প্রতিফলিত হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে ইউরোপে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ২০১৫-১৬ সালে বিশ্বজুড়ে তৈরি শরণার্থী সংকটকালীনের তুলনায় সর্বোচ্চ। ওই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৩ লাখ মানুষ ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন।

ইইউএএ বলেছে, গত বছর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিই ছিল আশ্রয়প্রার্থীদের এক নম্বর গন্তব্য। আশ্রয়ের আবেদনে সবার শীর্ষে আছেন সিরীয় নাগরিকরা। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আরেক দেশ আফগানিস্তান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই শরণার্থী সংস্থার প্রতিবেদনে আশ্রয় আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তনের প্রবণতাও তুলে ধরা হয়েছে। ২০২৩ সালের আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা ২০১৫-১৬ সালের তুলনায় কম হলেও ইইউর দোরগোড়ায় শুরু হওয়া সহিংসতা এবং যুদ্ধের প্রভাবে তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইইউএএর পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ১১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষের আশ্রয়ের এই আবেদনের মাঝেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ৪৪ লাখ ইউক্রেনীয়কে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার আক্রমণ থেকে পালিয়ে আসা ইউক্রেনীয়দের ইইউ ব্লকে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করার দরকার হয় না।

সংস্থাটি বলেছে, গত অক্টোবরে হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর বছরের শেষের দিকে ফিলিস্তিনিদের আবেদন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। ওই দিন ইসরায়েল থেকে ২৪০ জনের বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে হামাস।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীর হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় নৃশংস অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো নৃশংসতায় গাজায় প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে।

ইইউএএ বলেছে, ২০২৩ সালে সিরিয়ার নাগরিকরা আগের বছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি আবেদন জমা দিয়েছে। যদিও তাদের এই সংখ্যা ২০১৫ সালের আবেদনের অর্ধেকেরও কম। ওই বছর সিরিয়ায় ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ চলছিল।

গত মাসে ইইউর সীমান্ত সুরক্ষাবিষয়ক সংস্থা ফ্রন্টেক্সের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০১৬ সালের পর বর্তমানে অনিয়মিত সীমান্ত ক্রসিংয়ের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট