শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবুধাবিতে ‌‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন

প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২১ | ১:১১ অপরাহ্ণ আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২১ | ১:১১ অপরাহ্ণ
আবুধাবিতে ‌‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে।

সোমবার রাতে দেশটির রাজধানী আবুধাবিতে যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ও ভারতের দূতাবাস। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফর ও ভারতের রাষ্ট্রদূত সুঞ্জয় সুধির সহ দেশটিতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গীকৃত বাংলাদেশ ও ভারতের শহীদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফর তার বক্তব্যে দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও বন্ধুপ্রতিম ভারতের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সহমর্মিতা এবং নিঃস্বার্থ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফর বলেন, বাংলাদেশের লাখ লাখ শহীদের রক্তের সাথে মিশে গেছে ভারতের ১৮ হাজার শহীদের রক্ত। যা আমাদের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছে এবং দুদেশের বন্ধুত্বের দৃঢ় ভিত্তিমূল স্থাপন করেছে। ভারতীয় শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আশুগঞ্জে একটি যুদ্ধ স্মারক নির্মাণ করছে। ২০২১ সাল উভয় দেশের বন্ধুত্বের একটি মাইলফলক বছর হয়ে থাকবে, কেননা বাংলাদেশ যেমন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে তেমনি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে বিশ্বের নানা প্রান্তে ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন করছে।

ভারতের রাষ্ট্রদূত সুঞ্জয় সুধির বলেন, দুই দেশের মৈত্রীর সূচনা হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের মাধ্যমে। অভিন্ন আত্মত্যাগ স্বীকার করে। বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সোনালী অধ্যায় পার করছে এবং বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় ভারত অবদান রাখতে পেরে গর্বিত এবং আনন্দিত। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ যে মৈত্রী রচিত হয়েছিল তা ভবিষ্যতে আরও বেগবান হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের কূটনীতিকগণ, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং বাংলাদেশ ও ভারতের প্রবাসী কমিউনিটি ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট