সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

আফ্রিকায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ৪ মার্চ ২০২৪ | ২:১৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ৪ মার্চ ২০২৪ | ২:১৪ অপরাহ্ণ
আফ্রিকায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মো. মহিন ভূঞা (৩২) ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রুনা আক্তারকে (২২) গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার (৩ মার্চ) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে জোহানেসবার্গের জু-লিস স্ট্রিটে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মহিন ভূঞা নোয়াখালীর সেনবাগের অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামের ইসলাম পাটোয়ারী বাড়ির মো. হোসেন ভূঞার ছেলে এবং মহিনের স্ত্রী রুনা আক্তার একই উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের জমাদার বাড়ির মো. লিটনের মেয়ে।

মহিনের চাচা মো. মিলন ভূঞা জানান, পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে মহিন সবার বড়। জীবিকার তাগিদে ২০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান তিনি। রোববার বন্ধের দিন থাকায় মহিন সপরিবারে ঘুরতে বের হন। ঘুরাফেরা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গেটে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা এক সন্ত্রাসী মহিনকে গুলি করে। এ সময় মহিনের স্ত্রী তাকে জড়িয়ে ধরলে ওই সন্ত্রাসী তাকেও গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলে দুজনে প্রাণ হারান। এ সময় তাদের ৫ এবং ৩ বছরের দুই কন্যাসন্তান প্রাণে বেঁচে যায়। নিহত মহিনের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

মহিনের ছোট ভাই মো. মফিজ ভূঞা বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমার ভাই ও অন্তঃসত্ত্বা ভাবিকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। তখন ভাগ্যক্রমে তাদের সঙ্গে থাকা দুই সন্তান বেঁচে যায়। আমার ভাবি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী আতাউস সালাম বলেন, এমন ঘটনায় কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রবাসীরা বলছেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার সঙ্গে ডাকাতির কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা প্রবাসীরা আমাদের নিরাপত্তা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আব্দুর জব্বার বলেন, এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে আফ্রিকায় থাকা নিহতের ছোট দুই ভাই বিষয়টি দেশের বাড়িতে জানায়। ধারণা করা হচ্ছে পূর্বশক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।

অর্জুনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায়ই সন্ত্রাসী ও ডাকাতের কবলে পড়ে প্রাণ হারান বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ মহিনের এমন বিদায় আমরা মেনে নিতে পারছি না। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার তাদের মরদেহ দেশে ফেরত আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট