শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আঘাত হেনেছে হামুন, উপকূল অতিক্রম করবে ১০ ঘন্টায়

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৯:৪১ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৯:৪১ অপরাহ্ণ
আঘাত হেনেছে হামুন, উপকূল অতিক্রম করবে ১০ ঘন্টায়

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‌‘হামুন’ কুতুবদিয়া উপকূলে আঘাতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম শুরু করেছে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে পরবর্তী ৮-১০ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতের সতর্কতা হিসেবে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে কক্সবাজারে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১৩) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে পরবর্তী ৮ থেকে ১০ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং এর অদুরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট