অনুষ্ঠিত হলো ভবের হাট ভবের হাট সিজন সিক্স। রবিবার (৫ মার্চ) সিডনির ইঙ্গেলবার্ন কমিউনিটি হলে ফারিয়া আহমেদের পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও পরিচালনায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলার মাটি ও মানুষের এই বাউল গানের অনুষ্ঠানটি গ্রেগ পার্সিভাল ইংগেলবার্ন হলকে পরিণত করে এক খণ্ড বাংলাদেশ। যন্ত্র সংগীত, কবিতা, নৃত্য ও গানের মূর্ছনায় হলভরা দর্শকরা আবেগে আপ্লুত হয়ে উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান গুণীজনদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।
এ বছর কমিউনিটি জার্নালিজমে বিশেষ অবদানের জন্য অষ্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিক নাইম আবদুল্লাহ, নজরুল গীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী সীমা আহমেদ, লেখক, মুক্তিযুদ্ধ এবং সংগঠক হিসেবে বিশেষ অবদানের জন্য ড. কাইউম পারভেজ এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও প্রতীতি অষ্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুস সালেকিনকে ফুলের তোড়া, উত্তোরিও ও ক্রেষ্ট প্রদান করে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই সম্মাননা প্রদান করেন ড. নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও ড. রতন লাল কুন্ডু।
মেজর স্পন্সর এলজে হুকার মিন্টোর প্রতিনিধি মিজান রহমান ও নাহিদ জামানকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন কাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী।
অর্পিতা সোম চৌধুরীর কোরিয়োগ্রাফীতে নৃত্য পরিবেশন করেন হেনা, তৃষা, সাফাইয়া, ফারিন, মেঘা ও অর্পিতা নিজে। কবিতা আবৃত্তি করেন মোস্তাক প্রিন্স ও নুসরাত স্মৃতি। গান পরিবেশন করেন, সাইফ সোহান, বনফুল, লামিয়া আহমেদ ও ভবের হাটের কর্ণধার ফারিয়া আহমেদ।
যন্ত্রশিল্পীদের মধ্যে তবলায় বিজয় সাহা, গিটারে সোহেল খান, অক্টোপ্যাডে নাহিদ. দোতারায় সজীব, কী-বোর্ডে সাইফ সোহান, গিটারে বনফুল। সাউন্ড নিয়ন্ত্রণ করেন মাহাদী, আলোক বিন্যাশে মাশরুর এবং ক্যামেরাতে মোস্তফা কামাল।
মঞ্চসজ্জায় ছিলেন প্রত্যাশা ও রাসেল ইকবাল এবং সহযোগীতায় ছিলেন বাবু, জামী, অর্ণব এবং সুমন। প্রাণবন্ত এ অনুষ্ঠানে রাতের খাবার সরবরাহ করেন ওয়ালিউর রহমান।
সংলাপ ০৬/০৩/০০৭ আজিজ