শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

উৎসাহ উদ্দীপনায় আরব আমিরাতে ঈদ উদযাপন করলো প্রবাসীরা

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৩ | ৩:৪০ অপরাহ্ণ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ | ৩:৪২ পূর্বাহ্ণ
উৎসাহ উদ্দীপনায় আরব আমিরাতে ঈদ উদযাপন করলো প্রবাসীরা

নিজ মাতৃভূমি থেকে দূরে থাকলেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ভুলেনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসকারী বাঙালিরা। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। একসাথে ভোজন, আড্ডা, ভ্রমণ—সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজে মেতেছে প্রবাসীরা। যদিও নিজ দেশে ঈদ করার মতো আনন্দ মেলেনা ভিনদেশে।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৫ মিনিটে দুবাই ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানী আবুধাবির শেখ জায়েদ মসজিদে। সূর্য ওঠার আগেই বিশাল ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সেখানে বেশিরভাগ মুসল্লি বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়। জামাত শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

নামাজ শেষ হতেই মোবাইল ফোনে দেশের প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রবাসীরা। বাসায় ফিরে আরব দেশের প্রধান খাদ্য খেজুর, পায়েস, বিরিয়ানি-পোলাও ও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খান সবাই। ঈদের আনন্দ উদযাপনে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াবেন অনেকেই।

ঈদ মানেই আনন্দ। তবে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করলে ঈদের উল্লাস আরও গাঢ় হয়। প্রবাসীদের জীবনে এই উল্লাসের সুযোগ নেই। প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন অন্যদের চেয়ে আলাদা। প্রবাসে বাংলাদেশের মতো ঈদের আমেজ পুরোপুরি থাকে না। তবুও সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করেন একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময়, কোলাকুলি, খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে।

প্রবাসী বাঙালি সালাহ উদ্দিন বলেন, প্রবাসীদের ঈদ মানে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঈদগাহে নামাজ পড়া, নামাজ পড়ে বাসায় এসে কোলাকুলি করে ঘুমানো, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে সময় পার করা। দেশের মতো আনন্দটা তেমন নেই বললেই চলে। ঈদের নামাজ শেষে দেশে ফোন করার পর বুকের ভেতর কষ্টের তীব্রতা যেন আরও বেড়ে যায়। বুকফাটা যন্ত্রণাকে বুকে নিয়ে বিছানায় গিয়ে চোখের পানিতে বালিশ ভিজিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করি।

প্রবাসী জামিল উদ্দিন বলেন, আসলে প্রবাসীদের ঈদের দিনগুলোকে অন্যান্য দিনগুলোর সঙ্গে পার্থক্য করা কঠিন। কারণ অনেক প্রবাসীকেই ঈদের দিনও তাদের নির্ধারিত ডিউটি করতে হয়। প্রবাসে ঈদের দিনে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে দেশে প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানোর ঈদের দিনগুলোর কথা। তারপরও আমরা আমাদের মতো করে ঈদের আনন্দকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা করি।

সম্পর্কিত পোস্ট