বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাকিবের ক্ষমা চাওয়া উচিত!

প্রকাশ: ৫ এপ্রিল ২০২২ | ১:১৫ অপরাহ্ণ আপডেট: ৫ এপ্রিল ২০২২ | ১:১৫ অপরাহ্ণ
সাকিবের ক্ষমা চাওয়া উচিত!

আম্পায়াররাও মানুষ। জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’-এ এমন শিরোনামে একটি কলাম লিখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাংবাদিক টেলফোর্ড ভাইস। যেখানে সাকিব আল হাসানকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ডারবান টেস্টে আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক চলছেই। বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে যাওয়ায় আম্পায়ারিং নিয়ে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানানো হবে, জানিয়েছে বিসিবি।

বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মতে, মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়দের স্লেজিংয়ের বিষয়ে করা কোনো অভিযোগই আমলে নেননি আম্পায়াররা। অন্যদিকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সামান্য প্রতিক্রিয়াতে বারবার হুশিয়ারি দিচ্ছিলেন মারাইস এরাসমাস ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক।

এর বাইরে আম্পায়ারিংয়ের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও স্পষ্ট ছিল স্বাগতিকদের দিকে পক্ষপাতিত্ব। বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত রিভিউ নিয়ে নিজেদের পক্ষে এনেছে বাংলাদেশ। এছাড়া আম্পায়ার্স কলের কারণেও হতাশ হতে হয়েছে ম্যাচে। যে ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছে ২২০ রানে।

ম্যাচের পর আম্পায়ারিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন দলের বাইরে থাকা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক টুইটে সাকিব লিখেন, ‘আমার মনে হয় আইসিসির সময় এসেছে নিরপেক্ষ আম্পায়ার নিয়ে ভাবার, কেননা বেশিরভাগ দেশেই কোভিড পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।’

ম্যাচের দুই আম্পায়ার ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান, তাই তারা পক্ষপাতিত্ব করেছেন, সাকিব এই টুইট দিয়ে সেটাই ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করেন ক্রীড়া সাংবাদিক টেলফোর্ড ভাইস। এমন গুরুতর অভিযোগ তোলায় সাকিবের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও অভিমত তার।

টেলফোর্ড তার কলামে লিখেছেন, ‘সাকিবের ভালোভাবেই জানা উচিত, ম্যাচে ৪টি করে ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার ৪টি গেছে তাদের (বাংলাদেশের) পক্ষে। এজন্য এরাসমাস এবং হোল্ডস্টোকের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত সাকিবের। তবে আম্পায়ারদের প্রতি যে ভয়ংকর ইতিহাস আছে, তাতে তারা এটা খুব দ্রুত পাবেন বলে মনে হচ্ছে না।’

জয় থেকে ২৬৩ রান দূরে থাকতে যখন বাংলাদেশ আগের দিনই ৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে, তখন আম্পায়ারের ভুল ম্যাচে বড় কোনো প্রভাব ফেলেছে বলার উপায় নেই, এমন সাফাইও গেয়েছেন টেলফোর্ড।

তবে আম্পায়ারিং ঠিক থাকলে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৭৪ এর পরিবর্তে ১৮০ হতে পারতো, চতুর্থ দিন শেষেই এমন দাবি করেছিলেন টাইগার দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। আর সেটা হলে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিংয়ের মনোভাবটাও অন্যরকম হতে পারতো, টেলফোর্ড এই বিষয়টি সামনেই আনেননি।

সংলাপ-০৫/০৪/০০৩/আ/আ

সম্পর্কিত পোস্ট