শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিগগিরই বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২২ | ৫:২৪ অপরাহ্ণ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২২ | ৫:২৪ অপরাহ্ণ
শিগগিরই বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু

দেশে শিগগিরই করোনার বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে। বুস্টার ডোজের সময় হয়েছে, কিন্তু বুস্টার ডোজ নেননি এমন সবাইকে এর আওতায় আনা হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে শিগগিরই করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু হবে। যারা বুস্টার ডোজ নেননি, তারা যেন অতি দ্রুত নিয়ে নেন, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। টিকায় আমরা সফল হয়েছি। বিশ্বের ২০০ দেশের মধ্যে আমরা টিকাদানে আট নম্বরে এসেছি। এসবের সব কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার গাইডলাইনে আমরা কাজ করেছি।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা পূর্বেও টিকা ক্যাম্পেইন করেছি। সর্বশেষ ক্যাম্পেইনে একদিনেই এক কোটিরও বেশি মানুষকে আমরা টিকা দিয়েছি। এখনো প্রথম ডোজসহ টিকা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রশাসনের কর্মীরাও আমাদের সহযোগিতা করছে। সফল টিকা কার্যক্রমের কারণে দেশে সংক্রমণের হার দুই শতাংশে নেমে এসেছে।

স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। একই সঙ্গে অনেক নতুন ইনস্টিটিউট গঠন করা হয়েছে। এতে বিদেশে না গিয়েই রোগীরা সর্বাধুনিক চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।

কিডনি প্রতিস্থাপন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এক ধরনের বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এজন্য আইনও করা আছে, ডোনার পেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বর্তমান আইনে নানা সুযোগ রয়েছে। তবে আমাদের সমাজে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কিন্তু পরিবারের আপত্তিতে তা সম্ভব হয় না। এদিকে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কিডনি চিকিৎসায় বেশকিছু নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আট বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ১৫০ বেডের কিডনি হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ কমবে, রোগীদের ঢাকায় আসতে হবে না। এতে তাদের খরচ ও ভোগান্তি হ্রাস পাবে।

কিডনি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল।

এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ আরও অনেকে।

সম্পর্কিত পোস্ট