বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

র‍্যাপিড টেস্টে ঝুলে আছে আমিরাত প্রবাসীদের ভাগ্য

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২১ | ১২:৫৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২১ | ১:০১ অপরাহ্ণ
র‍্যাপিড টেস্টে ঝুলে আছে আমিরাত প্রবাসীদের ভাগ্য

সময়ের সংলাপ ডেস্ক :

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরে থাকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা ফেরার অনুমতি পেয়েছেন। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বাংলাদেশ, কঙ্গো, ভারত, লাইবেরিয়া, নামিবিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সিয়েরা লিওন, শ্রীলংকা, সাউথ আফ্রিকা, উগান্ডা, ভিয়েতনাম, এবং জাম্বিয়ায় যাওয়া প্রবাসীরা সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিরে যেতে পারবেন। কিন্তু তাদের ফিরে যেতে হলে মানতে হবে জটিল শর্ত। আর এই শর্তের কারণে দেশে আটকে থাকা প্রবাসীদের আমিরাতে ফিরে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, আরব আমিরাত ভ্রমণের পূর্বে যাত্রীদের নতুন করে ৬ ঘণ্টা ব্যবধানের একটি ‘র‍্যাপিড পিসিআর টেস্ট’ করার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশের বিমান বন্দরগুলোতে র‍্যাপিড পিসিআর টেস্ট ল্যাব না থাকায় আটকে পড়া প্রবাসীদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে দ্বিগুণ।

এ দিকে দেশে আটকে পড়া প্রবাসীরা বিমানবন্দরে র‍্যাপিড পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপনের জন্য ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবসহ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে দফায় দফায় মানববন্ধন করছেন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন দেশে আটকে পড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে র‍্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপন করে আটকে পড়া প্রবাসীদের সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিরে যাবার ব্যবস্থা করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। তবে কত সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরে র‍্যাপিড পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপন হবে কিংবা আটকে পড়া প্রবাসীরা কবে ফিরতে পারছেন সেই হিসাব-নিকাশ এখন কেবলই সরকারের হাতে।

দেশে আটকে পড়া আমিরাত প্রবাসী মহিউদ্দিন বেলাল রনি বলেন, ‘আমরা দফায় দফায় সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে মানবন্ধন করেছি। আগামী দুই-তিনের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে বিমানবন্দরে র‍্যাপিড পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপন করে প্রবাসীদের ফিরে যাবার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছি। অন্যথায় আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাবো।’

আরব আমিরাত প্রবাসী প্রকৌশলী নওশের আলী বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ বোর্ডের টাকা কতভাবে খরচ করা হয়, অথচ প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি র‍্যাপিড পিসিআর পরীক্ষার কয়েকটি ইউনিট কিনতে পারলাম না।’

আমিরাত প্রবাসী সিআইপি শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘যে প্রবাসীদের রক্ত আর ঘামের বিনিময়ে অর্জিত এবং প্রেরিত রেমিটেন্সে দেশ সচল থাকে দেশের অর্থনীতি, সমৃদ্ধ হয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, সেই হতভাগা প্রবাসীরা নিজ কর্মস্থলে ফেরত আসার জন্যে যদি আন্দোলন করতে হয় এটি সত্যি লজ্জার, অপমানের।’

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিবলী সাদিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীরা দেশে আটকে পড়েছেন। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। অনেকের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। ফিরে যাবার অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে বহু প্রবাসীর। যেহেতু আমিরাতের সঙ্গে আকাশ পথে যোগাযোগ উন্মুক্ত হয়েছে তাই সরকারের উচিত দ্রুত সময়ে বিমানবন্দরগুলোতে র‍্যাপিড পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপন করে প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে সহযোগিতা করা।

সম্পর্কিত পোস্ট