শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিমের মধুচন্দ্রিমার মধুর স্মৃতি

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৩:৩৬ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১০:২০ অপরাহ্ণ
মিমের মধুচন্দ্রিমার মধুর স্মৃতি

বিয়ের দুই মাসের মাথায় ১৫ ফেব্রুয়ারি মধুচন্দ্রিমায় মালদ্বীপ যান মিম। পাঁচ দিন ছিলেন সেখানে। শুটিং, শপিং, সাজানো সেট, জনারণ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ওই দ্বীপে একান্তে দুজনের প্রতিটি ক্ষণ ছিল মধুময়। মিম বলেন, ‘একান্তে সময় কাটাতেই ওই দ্বীপে গিয়েছিলাম আমরা। বিচের পাশেই সবুজে ঘেরা ছোট ছোট টিলা। সবুজ প্রকৃতির সঙ্গে হাঁটা, সমুদ্রের সঙ্গে থাকাই ছিল আমাদের কাজ।’
সমুদ্রের নীল জলে সবে ডুব দিয়েছে সূর্য। তখনো কিছুটা লাল আভা লেগে ছিল নীল আকাশে। চারদিকে আলো–আঁধারির খেলা। সমুদ্রের ওপরে ছোট্ট ঘর, সামনে কাঠের ছোট্ট উঠান। সেখানে বসে গল্প করছিলেন মিম ও সনি। মধুচন্দ্রিমার জন্য এমন নির্জন, প্রাকৃতিক পরিবেশ, এমন চোখজুড়ানো নীল জল আর আকাশ যেন আদর্শ। তাতে ভিন্ন মাত্রা জুগিয়েছে জলের শব্দ, সামুদ্রিক পাখি। এমন সময় মিমদের সামনে জ্বেলে দেওয়া হলো মোমবাতি। শুরু হয় ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। সে এক দারুণ দৃশ্য! মালদ্বীপের হুরুয়েলি দ্বীপে মধুচন্দ্রিমার এক সন্ধ্যার বিবরণ এভাবেই দিয়েছেন মিম।

এই ঢালিউড অভিনেত্রী বলেন, ‘এভাবে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের অভিজ্ঞতা আমার এবারই প্রথম। সন্ধ্যার আলো–ছায়ায় সমুদ্রের পানির ওপরে তৈরি ঘরের সামনে একান্তে দুজনের সময় কাটানো মুহূর্তগুলো স্বপ্নের মতো। শান্ত সমুদ্রের পানির শব্দ, সমুদ্রের পাখিদের ডাক—কী যে ভালো লাগছিল, বলে বোঝানো মুশকিল। এমন আনন্দ আর ভালো লাগার মুহূর্ত আমার জীবনে আর আসেনি। ইচ্ছা ছিল সমুদ্রে সূর্যোদয় দেখার। কিন্তু মনোমুগ্ধকর সেই পরিবেশ দেখার সুযোগ হয়নি। ‘প্রতি রাতেই ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমরা আলাপ করতাম, ভোরে সমুদ্রের ওপর থেকে সূর্য ওঠা দেখব, দেখব শান্ত সমুদ্র। কিন্তু এক দিনও পারতাম না। ঘুম থেকে উঠেই দেখতাম সূর্য উঠে গেছে। এই আফসোস রয়ে গেছে।’ প্রতিদিন সকালের নাশতা শেষে মিমরা মাছ ধরতে গেছেন। সমুদ্রের ওপর কাঠের সাঁকোয় বসে নীল জলে পা ডুবিয়ে বড়শিতে মাছ ধরতেন। সেই মাছ আবার সমুদ্রেই ছেড়ে দিতেন তাঁরা।

সংলাপ/২৬/০২/০০৭/আজমল

সম্পর্কিত পোস্ট