দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে যোগ্য হওয়ার পরেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে পদ পাননি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী। চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হওয়ার পর পদ পেতে নানা রকম আন্দোলন সংগ্রাম করলেও তা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পর্যন্তই যেন সীমাবদ্ধ ছিলো। ছাত্রলীগের কমিটিতে নিজেদের নাম লিখাতে না পারলেও শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তারা। তারই ধারাবাহিকতায় চবির ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাদের সহযোগিতা এগিয়ে এসেছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, পরীক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মাস্ক, কলম ও ফাইল বিতরণ করেছে তারা। এছাড়া কোনো পরীক্ষার্থীর প্রয়োজন হলে নিজেদের মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্রেও পৌঁছে দেয় পদবঞ্চিত এসকল নেতাকর্মীরা। আর ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে ইতোমধ্যে প্রশংসায় ভাসছে তারা।
এ বিষয়ে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দগণ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত ২০২২-২৩ সেশন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অবিভাবকের সহযোগিতা লক্ষ্যে আমরা শিক্ষার্থী সহায়তা ও তথ্য কেন্দ্র প্রতিস্থাপন, আবাসন ব্যবস্থা, শিক্ষা উপকরণ (কলম, মাস্ক, পরীক্ষার ফাইল), বিশুদ্ধ পানি ও লিফলেটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানচিত্র, পরীক্ষার সময়, শাটল ট্রেনের সময়সূচি এবং জয় বাংলা বাইক সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি৷
আরেক পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ আট বছর ধরে আমরা সংগঠনের জন্য কাজ করার পরও তারা আমাদেরকে পদবঞ্চিত করে আমাদের সাংগঠনিক কাজ থেকে বিরত রাখতে চেয়েছিল৷ চেয়েছিল মুজিব আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে। কিন্তু আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, আমাদের সাংগঠনিক কাজের মাধ্যমে সংগঠনের সুনাম ও অবিচ্ছিন্ন যাত্রা অক্ষুণ্ণ রাখবো৷
ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তা অন্যান্যদের মধ্যে ভূমিকা রাখছে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম, সজীব, মামুন, বাদল, বেলাল, সিয়াম, ছানা, পাঠান, মাহির, আরমান, তুষার, জামশেদ, শাকিল, ফারাবি, ফারহান, রাশেদ প্রমুখ।
