শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় স্থান পর্তুগালের ‘লিভরারিয়া লেলো’

প্রকাশ: ৪ এপ্রিল ২০২২ | ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৪ এপ্রিল ২০২২ | ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ
বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় স্থান পর্তুগালের ‘লিভরারিয়া লেলো’

গ্রন্থাগার অথবা বুকশপ শব্দটি শুনলেই বইপ্রেমীদের মনের কোণে ভেসে উঠে সারি সারি বই আর পিনপতন নিস্তব্ধতার দৃশ্য। পাশাপাশি ভালো বইয়ের দোকানও তাদের কাছে অন্যতম পূজনীয় স্থান। পর্তুগালের ‘লিভরারিয়া লেলো’ এমন একটি জায়গা, যা বিশ্বের সুন্দরতম বুকশপ গুলোর মধ্যে অন্যতম।

পর্তুগালের বন্দর নগরী পোর্তো সিটিতে অবস্থিত বিখ্যাত এ বইয়ের দোকান। পর্যটকদের কাছে এটি গ্রন্থাগার মনে হলেও মূলত এটি একটি বইয়ের দোকান । তবে বিশ্বের অন্য বইয়ের দোকানের চেয়ে একেবারে ভিন্ন। মূলত দোকানটি ১৯০৬ সালের ১৩ জানুয়ারি জোসে লেলোর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়। জোসে লেলো একজন কৌতূহলী ও উদ্যোক্তা ছিলেন। বইয়ের দোকানটি প্রতিষ্ঠার ১১৬ বছর পরও এটি আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে সুন্দর বইয়ের দোকানগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

মূলত বইয়ের দোকানটি ইঞ্জিনিয়ার ফ্রান্সিসকো জেভিয়ার এস্টিভস দ্বারা নকশা করা হয়েছিল। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে দোকানটি সংস্কার করা হলে দোকানটির মূল কারুকাজ ১৯০৬ সালের। বইয়ের দোকানটি পুরোপুরি কাঠের মাধ্যমে নকশা করা। একটি গ্যালারির বিভিন্ন কিছু অংশ কাঁটাচামচের মতো ডিজাইন করা হয়েছে। যে কারণে জনপ্রিয় ‘লিভরারিয়া লেলো’ হ্যারি পটার গল্পের লেখক জে কে রাউলিং ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত পর্তুগালের পোর্তো সিটিতে বসবাস করতেন।

পর্তুগালে থাকার সময় প্রায়ই তিনি এ বইয়ের দোকানে যেতেন। বইয়ের দোকানের কর্মী মারগারিতা মারটিনস বলেন, এটি শুধু একটি বইয়ের দোকান অথবা গ্রন্থাগার নয়।এটি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরতম গ্রন্থাগার ও বইয়ের দোকানগুলোর মধ্যে অন্যতম। গ্রন্থাগারে আমরা প্রথমে প্রবেশ ফি না নিলেও ২০১৫ থেকে আমরা প্রবেশের ক্ষেত্রে ৫ ইউরো নির্ধারণ করি। তবে বই কিনলে আমরা প্রবেশ ফি ফেরত দিয়ে দিই। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বুকশপে প্রতিদিন প্রায় গড়ে তিন হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী বই কিনতে ও দেখতে আসেন। এখনো বর্তমানে আমাদের কাছে ছয়টি ভাষার কয়েক লাখ বই রয়েছে। ২০১৯ সালে ১২ লাখ দর্শনার্থী বইয়ের দোকানটি দেখতে এসেছিলেন।

পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে বইয়ের দোকানটি দেখতে আসা রাসেল আহম্মেদ আলাপকালে বলেন, আমি পর্তুগালে কয়েকবছর ধরে বসবাস করি। অনেকের কাছে এ বইয়ের দোকানটির নাম শুনেছি। তাই দেখতে এলাম। আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর বইয়ের দোকান এটি।

সম্পর্কিত পোস্ট