শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিমান ভাড়া কমানোর চেষ্টা চলছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৯:৫০ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৯:৫০ অপরাহ্ণ
বিমান ভাড়া কমানোর চেষ্টা চলছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রবাসীদের দুর্দশা লাঘবে অচিরেই বিমান ভাড়া কমানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের, এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে, দু’দেশের মধ্যে যে সকল বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে এগুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে। শুক্রবার রাতে আমিরাতের ক্রাউন প্লাজা হোটেলের বলরুমে বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাই কর্তৃক আয়োজিত( সি আই পি) সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

র‌্যাবের ওপর দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যাহার হতে পারে আমরা চেষ্টা করছি। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা আছে। কবে নাগাদ হতে পারে সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কখন কবে হবে জানি না।’

সাম্প্রতিক সময়ে আমিরাতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত দেশটিতে বাংলাদেশীদের রিয়েলএস্টেট খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করছে বাংলাদেশীরা। এসব বিনিয়োগকারীদের ব্যাপারে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে আমরা জানি না। শুধু পত্রিকায় দেখেছি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুবাইয়ে বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসির। সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে আমিরাতের ২১ জন সিআইপির হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা আমাদের সত্যিকারের নায়ক। রেমিট্যান্সের কারণে দেশের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। আমি সহকর্মীদের বারবার এই অনুরোধ করছি, সেবাপ্রত্যাশী প্রবাসীরা যখন বাংলাদেশ মিশনে আসবেন তখন যেন তারা স্মরণীয় করে রাখার মতো সেবা পান। প্রবাসীদের সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও তাদের হাসিমুখে সেবা দান করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বক্তব্যে দুবাই প্রবাসীদের জন্য ‘লাইফ চেঞ্জ’ নামের একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৮ জন প্রবাসী ভিন্ন ভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে মাহতাবুর রহমান নাসির বলেন, আমিরাতকে ব্যবসায়িক কেন্দ্র বলা হয়। দেশ থেকে বেশি করে পণ্য নিয়ে এলে সেগুলো এখান থেকে আমিরাত বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা সম্ভব। তবে সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ না থাকায় বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য দেশ ঘুরে প্রায় ৪৫ দিনে পণ্য পৌঁছে এখানে। সরাসরি ব্যবস্থা হলে বাংলাদেশ থেকে আমিরাতে ১৪ দিনে পণ্য পৌঁছে যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট