শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির শান্তি সমাবেশের পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২১ | ৩:১৮ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২১ | ৩:১৮ অপরাহ্ণ
বিএনপির শান্তি সমাবেশের পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

আজ মঙ্গলবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি)। শান্তি সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কাকরাইলের দিকে এগোলে নাইটিঙ্গেল মোড়ের কাছে পুলিশের সঙ্গে বাঁধে সংঘর্ষ । এ সময় বিএনপিকর্মীরা রাস্তার দুই পাশের গলিতে ঢুকে পড়ে পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে থাকেন। পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে ও লাটিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে এই শান্তি শোভাযাত্রা ও সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। তাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা নয় পল্টানে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন। তাদের অবস্থানের কারণে সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিএনপির এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কাছেই দেখা যায় পুলিশের সাঁজোয়া যান। পুলিশের উপস্থিতির মধ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ‘এক হও লড়াই করো’ ‘জিয়ার সৈনিক হও, এক হও’ ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

বেলা ১১টায় বিএনপি অফিসের সামনে ছোট একটি ট্রাকে শান্তি সমাবেশ শুরু হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র দল, মহিলা দলের নেতারা সেখানে অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল সমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর মিছিল শুরু হতেই নাইটিঙ্গেল মোড়ে সংঘর্ষ বাঁধে।

পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপ কমিশনার আব্দুল আহাদ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিএনপি কর্মীদের মিছিল করার কথা ছিল না। সমাবেশ শেষে বিএনপি মহাসচিবও সে কথা বলেছিলেন। মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা যখন এখানে আসে, আমাদের পুলিশের ওপর ইট পাটকেল ছোড়ে, তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে। আমার অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে তাদের ইট পাটকেলে।… যেভাবে পুলিশের ওপর তারা ইট পাটকেল ছুড়েছে, এটা কোনো সভ্য দেশে কাম্য হতে পারে না।”

সম্পর্কিত পোস্ট