দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ থেকে সরাসরি অন্যান্য দেশে ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত, এ বিষয়ে দুই দিনের আলোচনা শুরু হয়েছে।
সোমবার(১৫ মে) আলোচনায় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি ও বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ২২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহেল কামরুজ্জামান জানান, দুই দিনব্যাপী আলোচনার প্রথম দিনে দুই দেশের বিদ্যমান বিমান চলাচল চুক্তির আওতায় যোগাযোগ বৃদ্ধি ও চুক্তিটি আরও যুগোপযোগী করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে এমিরেটস, ফ্লাই দুবাই, ইতিহাদ ও এয়ার এরাবিয়ার প্রতিনিধিরাও ছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই চারটি এয়ারলাইন্সের নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। তারা এখন বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৃতীয় দেশে যাত্রীবাহী ও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে, এভিয়েশনের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘ফিফথ ফ্রিডম’।
অর্থাৎ এতদিন তারা দুবাই বা শারজাহ হয়ে (ট্রানজিট) ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশ বা অন্য দেশে যাত্রী বহন করছে। এখন তারা সরাসরি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ, আমেরিকা বা অন্য কোনো দেশে যাত্রী ও মালামাল (কার্গো) বহন করতে আগ্রহী।
বেবিচকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। আমিরাতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক সাইফ মোহম্মেদ আল সুওয়াইদি।
এছাড়া আমিরাতের প্রতিনিধি দলে দুবাই, শারজাহ, রাস-আল-খাইমাহ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেখানকার বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বাংলাদেশের পক্ষে চেয়ারম্যান বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
