বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২২ | ১২:৫১ অপরাহ্ণ আপডেট: ৭ এপ্রিল ২০২২ | ১২:৫১ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারই পরিপ্রেক্ষিতে দুটি বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি— জিসোমিয়া (জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) এবং আকসা (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট) নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করছে ঢাকা-ওয়াশিংটন।

গতকাল বুধবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা ও ওয়াশিংটনের অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপে সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগ্রহের কথা জানায়।

দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টে ওয়াশিংটনের সময় সকাল ৯টায় বৈঠকটি শুরু হয়। দিনব্যাপী সংলাপটি চারটি সেশনের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্বে দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি বনি জেনকিন্স।

ওয়াশিংটনের আগ্রহে প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের নিরাপত্তা সংলাপে দিনব্যাপী বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, সামরিক প্রশিক্ষণ, সমুদ্র নিরাপত্তা, প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা চুক্তি, প্রতিরক্ষা ক্রয় ও সক্ষমতা উন্নয়ন, আঞ্চলিক সমস্যা যেমন— রোহিঙ্গা সমস্যা, ইন্দো-প্যাসিফিক এবং সন্ত্রাস দমন ও বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব সংলাপে জানান, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে গভীরভাবে মূল্য দেয়। মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্কের প্রশংসা করেছে। উভয়পক্ষ নিয়মিত সংলাপের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তাছাড়া উভয়পক্ষ নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখতেও সম্মত হয়েছে। ওয়াশিংটন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সাফল্য ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে। পরবর্তী নিরাপত্তা সংলাপ আগামী বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংলাপে ঢাকার পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট