শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবাসীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী করলেন মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার

প্রকাশ: ৯ মে ২০২২ | ১:৪৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ৯ মে ২০২২ | ১:৪৩ অপরাহ্ণ
প্রবাসীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী করলেন মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার

মালয়েশিয়ায় কর্মরত শ্রমজীবী মানুষদের জন্য ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। রোববার (৮ মে) ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের ‘ভ্যাজেটেবল গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের তিতিওয়াংসা হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর কন্স্যুলার জিএম রাসেল রানার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের মিনিস্টার (লেবার) নাজমুস সাদাত সেলিম, ক্যামেরুন হাইল্যান্ড ভ্যাজেটেবল গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দাতু চাই কুক লিম, ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের মালে ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দাতু সৈয়দ আব্দুল রহমান বিন সৈয়দ আব্দুল রশিদ, ক্যামেরুন হাইল্যান্ড ফ্লোরিকালচার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান লি পেন ফু সহ ক্যামেরন হাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী ও কমিউনিটির নেতারা।

হাইকমিশনার বলেন, কুয়ালালামপুর থেকে দূর প্রদেশে আপনারা যারা বসবাস করছেন তাদের আর হাই কমিশনে যেতে হবে না। দূতাবাসের ডিজিটালাইজেশন ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া করোনাকালে মালয়েশিয়া সরকারের বিধিনিষেধ মেনে প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হয়েছে। তখন সেবা দিতে গিয়ে হাই কমিশনের প্রায় ৩০ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং একজন মারা যান। তারপরও দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা জীবন বাজি রেখে সেবা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা যার যার অবস্থান থেকে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখছেন। দূতাবাসের সব কর্মকর্তা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত। ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের মতো প্রতিটি রাজ্যে শ্রমজীবী প্রবাসীদের নিয়ে ঈদ পূর্ণমিলন করা হবে বলেও জানান হাইকমিশনার।

এদিকে নতুন শ্রমিক রিক্রুটমেন্ট এবং লিগেলাইজেশন প্রক্রিয়া দ্রুত ও প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে দেশটির সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার এবং দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন শ্রমজীবী প্রবাসীরা।

এ বিষয়ে হাইকমিশনার বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নতুন শ্রমিক রিক্রুটমেন্ট নিয়ে চেষ্টা করা হবে। সরকারি ঘোষণা ছাড়া কারো সঙ্গে পাসপোর্ট বা টাকা লেনদেন না করার পরামর্শ দেন তিনি।

ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা বলেন, বাংলাদেশিরা কঠোর পরিশ্রমী, প্রতিদিন ওভারটাইম করলেও সমস্যা হয় না। ফলে তুলনামূলক কম শ্রমিকই অনেক বেশি কাজ করতে পারে। এতে তারাও যেমন লাভবান হচ্ছে, তেমনি আমরা মালিকরাও লাভবান হচ্ছি।

সম্পর্কিত পোস্ট