শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

২০ দিনের ফি মওকুফ, ৫০ প্রবাসী পাবেন পুরস্কার

দুবাই থেকে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২ | ১:০১ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৯ জুন ২০২২ | ১:২১ অপরাহ্ণ
দুবাই থেকে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ

নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর থেকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকারের তোড়জোড় ও বাংলাদেশ মিশনগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে কয়েকটি বিশেষ সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশ মিশন ‘দুয়ারে কনস্যুলেট’ নামে একটি কর্মসূচির মাধ্যমে প্রবাসীদের এসব বিষয়ে সচেতন করছে। পাশাপাশি প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে দেশটিতে থাকা জনতা ব্যাংক ২০ দিনের জন্য রেমিট্যান্স ফি মওকুফ ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো ৫০ জন সাধারণ প্রবাসীকে খুঁজে সম্মানীত করার ঘোষণাও দিয়েছে বাংলাদেশ মিশন।

শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আজমান আয়োজন করে ‘মোটিভেশনাল ক্যাম্পেইন’ নামের একটি সেমিনার। এই সেমিনার থেকে এসব ঘোষণা দেন বক্তারা।

আমিরাতের জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আগামী ২০ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত প্রবাসীরা বিনা ফি-তে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের সুযোগ পাবেন। এছাড়া রেমিট্যান্স বাড়াতে স্থানীয় শ্রমিক ক্যাম্পগুলোতে শিগগিরই রেমিট্যান্স মেলার উদ্যোগ নেয়া হবে।

আজমান বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আহবায়ক প্রকৌশলী জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে ও হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দুবাই ও উত্তর আমিরাত কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন।

বিএম জামাল হোসেন বলেন, ‘আমিরাতে বাংলাদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানে শত শত শ্রমিক রয়েছে এসব মালিক পক্ষ নিজের প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের প্রথমে বৈধ চ্যানেলে দেশে টাকা প্রেরণ উৎসাহিত করতে পারে। প্রতিষ্ঠান মালিক ও উদ্যোক্তারা এটি শুরু করলে দ্রুত তা সাধারণ প্রবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। এ ছাড়া বৈধভাবে কিছু মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমের দেশে টাকা পাঠানো যায়, রেমিট্যান্স মেলার মাধ্যমে সেসব অ্যাপসের সঙ্গে প্রবাসীদের আমরা পরিচয় করিয়ে দিব।’

প্রধান অতিথি আরো বলেন, নীরবে যারা বৈধ পথে টাকা পাঠাচ্ছেন আমরা খুঁজে খুঁজে এমন ৫০ জন সাধারণ প্রবাসীকে সম্মানীত করব। আজমান প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে আরো বেশি টাকা পাঠানোর সুযোগ করে দিতে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’  

আসন্ন ঈদুল আযহাকে ইঙ্গিত করে বিএম জামাল হোসেন বলেন, ‘হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর আগে দশ বার ভাবুন, কোরবানির উদ্দেশ্যে অবৈধ পথে যে টাকা দিচ্ছেন সেটি দিয়ে আদৌ কুরবানি হবে কি-না! যারা অবৈধ পন্থায় টাকা পাঠাচ্ছেন সেগুলো কালো টাকা হয়ে যায়। দেশের আইন অনুযায়ী এর শাস্তি ৪ বছর থেকে ১২ বছরের সর্বোচ্চ কারাদন্ড হতে পারে।’

সেমিনারে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, কনস্যুলেটের কর্মাশিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান, প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী বাবুল, সহ সভাপতি মো. রাজা মাল্লিক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ, বিজনেস কাউন্সিল আজমানের সচিব হেলাল উদ্দিন, দুবাই জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আব্দুল মালেক, শারজাহ জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শওকত আকবর ভূঁইয়া প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট