বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছালেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ।মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকেলে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে।এসময় তাকে বিমাবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিনিয়োগ, রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্য সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর।
আগামিকাল বুধবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ এর সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বৈঠক করবেন। এরপর তিনটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হবার কথা রয়েছে। এতে বিভিন্ন খাতে প্রায় ৬’শ কোটি ডলারের বিনিয়োগ ও বিক্রির প্রস্তাব দিতে পারে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তারপর দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার কাছে সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম বিক্রির প্রস্তাব দেবে রিয়াদ। আলোচনায় জনশক্তি রপ্তানির বিষয়েও ঠাঁই পাবে। বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে কর্মরত আছেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদিআরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুলাইহান জানান,দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনেট সম্পর্ক ও গতিশীল অংশীদারিত্ব এই সফরের মাধ্যমে আরও বিকশিত হবে। আমরা বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চাই। প্রাথমিকভাবে ১.৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের বিষয় নিশ্চিত করেছে সৌদি আরব। এর মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে পায়রাবন্দরের সংযোগ স্থাপন, কক্সবাজারকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরের চিন্তা রয়েছে।
সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রিন্স ফয়সাল। এছাড়াও ভার্চুয়ালি কেরানীগঞ্জে ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ।
সফর শেষে বুধবার বিকেলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাকে বিদায় জানানোর কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই সফরের মাধ্যমে অর্ধযুগ পর ঢাকায় এলেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সর্বশেষ ২০১৬ সালের মার্চে তৎকালীন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন আহমেদ আল-যুবায়ের ঢাকা সফরে এসে ছিলেন।
