শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমিরাতে বোরকা ব্যবসায় চমক দেখাচ্ছে বাংলাদেশিরা

প্রকাশ: ৩ জুন ২০২৩ | ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৩ জুন ২০২৩ | ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
আমিরাতে বোরকা ব্যবসায় চমক দেখাচ্ছে বাংলাদেশিরা

মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতে দিন দিন বাংলাদেশি মালিকাধীন বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বোরকা ব্যবসা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭টি প্রদেশ আবুধাবি, আজ্মান, ফুজাইরাহ্, শারজাহ্, দুবাই, রাস আল-খাইমাহ্ এবং উম্ম আল-কাইওয়াইন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে রয়েছে এসব বোরকার দোকান। তবে দুবাই, শারজাহ ও আজমান প্রদেশে প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি।

এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে হাজার হাজার বাংলাদেশি। সমগ্র আমিরাত জুড়ে যতগুলো বোরকা বা আবায়ার দোকান ও ট্রেইলারিং শপ আছে তার ৮০ ভাগই বাংলাদেশি মালিকানাধীন বা বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত।

গুণগত মান আর মূল্যর দিক দিয়ে বাংলাদেশি দোকানগুলোতে বোরকাগুলো খুবই উৎকৃষ্ট যার কারণে স্থানীয় আরবীসহ বিভিন্ন প্রদেশের প্রবাসীরা এসব দোকান থেকে কেনাকাটা করেন।

প্রবাসী ব্যবসায়ীরা জানান, আবায়া বা বোরকা তৈরির জন্য বাংলাদেশিদের বেছে নেন আরবরা। কেননা বাংলাদেশিরা দক্ষ হাতে এগুলো তৈরি করে থাকেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি। তাছাড়া এ শিল্পের জন্য বাংলাদেশিদের দক্ষতা ও সুনাম ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রতিটি দোকানে ৩ থেকে ৪ জন কর্মী কর্মরত থাকে। এসব দোকানে দিনে প্রায় ৩ হাজার দেরহাম যা বাংলা টাকায় ৯০ হাজার টাকা এবং মাসে ৯০ হাজার দেরহাম বাংলা টাকায় প্রায় ২৭ লাখ বেচাবিক্রি হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ প্রদেশের প্রবাসী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান বলেন এক সময় এই আবায়া বা বোরকা ব্যাবসা ভারতীয় নাগরিক ও ইরানি নাগরিকদের দখলে থাকলে ও বর্তমানে এ ব্যবসা বাংলাদেশিদের আলো দেখাচ্ছে।

এসব বোরকা বা আবায়া আর গাউন নিতে আসেন বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ও আরবিরা যা সুনামের সাথে বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশি আবায়া বোরকার দোকানগুলো।

এসব প্রতিষ্ঠানে শুধু মালিকপক্ষই লাভবান হচ্ছেন না, সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। যা এক দিকে বাংলাদেশের অনেক পরিবারে সচ্ছলতা এনে দিচ্ছে অন্যদিকে দেশ পাচ্ছে একটি বড় অংকের রেমিট্যান্স।

সম্পর্কিত পোস্ট