বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জান-মালের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

হামলা-মিথ্যা মামলার অভিযোগ আসামী পক্ষের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২২ | ৮:৪৬ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২২ | ১:২৯ পূর্বাহ্ণ
হামলা-মিথ্যা মামলার অভিযোগ আসামী পক্ষের বিরুদ্ধে

২০২০ সালের ১১ জুন রাতে পূর্বপরিকল্পনানুযায়ী চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির নানুপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন ওরফে রাশেদ কামাল নামে এক সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিবিদ্ধ রাশেদ কামালকে হাসপাতালে নেয়ার পথে হত্যাকারীর নাম নিকট জনের কাছে প্রকাশ করে যান। এ ঘটনায় রাশেদ কামালের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ বাকেরসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফটিকছড়ি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাজনৈতিক মতবিরোধ ও দ্বন্দ্বে হত্যাকান্ডের এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সৈয়দ মোহাম্মদ বাকের। বর্তমানে জামিনে বাইরে থেকে মামলা তুলে নিতে বিবাদী পক্ষের উপর প্রাণনাশের হুমকি, হামলা আর মিথ্যা মামলা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত রাশেদ কামালের চাচা ভুক্তভোগী প্রবাসী বখতিয়ার উদ্দীন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে দুবাইয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।ভুক্তভোগী প্রবাসী বখতিয়ার উদ্দিন গণমাধ্যমের মাধ্যমে সরকার ও প্রশাসনের কাছে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা সহ জান-মাল রক্ষায় দাবি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বখতিয়ার উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ কামাল ছিলেন তারা দূঃসম্পর্কের ভাতিজা। নানুপুর বাজারে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়। পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারও করে। পরবর্তীতে উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অগ্নেয়াস্ত্র। ওই মামলা পরিচালনায় রাশেদ কামালের পরিবারের পাশে দাঁড়ান বখতিয়ার উদ্দিন। এতেই কাল হয় তার। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে ওই মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ মোহাম্মদ বাকের বিভিন্নভাবে মামলাটি তুলে নিতে জোর প্রয়োগ করে। মামলা প্রত্যাহার না করায় পরিবারের ওপর হামলা করে। এতেও কাজ না হলে বখতিয়ারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। দায়ের করে তার (বখতিয়ার) নামে মিথ্যা মামলা।

বখতিয়ার উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘ভাতিজা রাশেদ কামাল হত্যা মামলাটি তুলে নিতে সৈয়দ মোহম্মদ বাকের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে উল্টো তাকে (বখতিয়ার) হত্যা চেষ্টার দায়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তার কর্মী বাহিনীকে ক্ষেপিয়ে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার পায়তারা করছে। এই অবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। জান-মাল হরণের আশঙ্কাবোধ করছি। আমি সরকার, স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ প্রশাসনের কাছে আমাদের জান-মাল রক্ষার্থে সহযোগিতা কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ কামালের ছোটভাই মোহাম্মদ শাহেদ, ফুফাতো ভাই সাজ্জাদ হোসেন রাসেল, লোকমান উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, মো কাইসার উপস্থিত ছিলেন।

এসময় রাশেদ কামালের ছোটভাই মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের হত্যা মামলাটি তুলে নিতে আসামি পক্ষ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পরিবারের ওপরও হামলা করেছে। আমরা পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও এখন চিন্তিত। সরকার ও প্রশাসনের কাছে আমার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছি।’

এ প্রসঙ্গে ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘সৈয়দ মোহাম্মদ বাকেরের নামে রাশেদ কামাল হত্যাকান্ড, অস্ত্র আইনে মামলাসহ একাধিক রয়েছে। হত্যা মামলাটি বর্তমানে পিবিআইতে তদন্তনাধীন। এছাড়া একটি অডিও কল রেকর্ডের সূত্র ধরে বখতিয়ার উদ্দিনের নামে হত্যা পরিকল্পনাকারী হিসেবে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

সংলাপ-১১/০৩/০০৫/আ/আ

সম্পর্কিত পোস্ট