রাজধানীর মৌচাকে কোচিং সেন্টারে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে একজন মৌচাক এলাকায় একটি আবাসিক কোচিং সেন্টারে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারীর বরাত দিয়ে ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, তার ১১ বছর বয়সী মেয়ে মৌচাক মার্কেটের কাছে ‘ক্যাডেট কেয়ার কোচিং সেন্টার’ নামে একটি আবাসিক কোচিংয়ের শিক্ষার্থী। গত বছরের ডিসেম্বরে তার মেয়েকে তিনি সেখানে ভর্তি করান। কয়েকদিন আগে মেয়েটি আবাসিক ওই কোচিং সেন্টার থেকে বাসায় ফেরেন। এরপর আর সে কোচিং সেন্টারে যেতে চায় না। কোচিংয়ের কথা বললেই সে কান্নাকাটি করে। মেয়েটি তার মাকে যৌন হয়রানির কথা জানান।
পরে শিক্ষার্থীর মা অন্য কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেন। তারাও কোচিং সেন্টারটির এক শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির কথা বলেন। এরপর তিনি আরও কয়েকজন অভিভাবকসহ শনিবার বিকেলে মৌচাক কোচিং সেন্টারে অবস্থান করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আইনি সহায়তা চান। জাতীয় জরুরি সেবা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কলারের সঙ্গে রমনা থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। সংবাদ পেয়ে দ্রুত রমনা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
পরে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর ৯৯৯ কে জানান, তারা কোচিং সেন্টারের হেড টিচার কাজী জামিল উদ্দীনকে (৪৩) আটক করে থানায় নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।