প্রায় ৯৫ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে শঙ্কিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে এই ইভিএমগুলো রাখার জন্য জায়গাসহ অবকাঠামো নেই। এজন্য ইভিএমগুলো সংরক্ষণের জন্য জায়গা ও অবকাঠামো ভাড়া করা একান্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ইভিএম প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কর্নেল মো. কামাল উদ্দিন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাসিক সভায় এ কথা বলেন ইভিএম পিডি। সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। গত ১৩ মার্চ মাসিক সভার কার্যবিবরণীটি জারি করে ইসি।
ইসির যুগ্মসচিব (অর্থ ও প্রশাসন) বলেন, ইভিএম সংরক্ষণ করার জন্য জায়গাসহ অবকাঠামো/ফ্ল্যাট/বাড়ি, ইভিএম ধারণ ক্ষমতা, ভাড়ার পরিমাণ ইত্যাদি সংক্রান্ত সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবগুলো একীভূত করে নির্বাচন কমিশন বরাবর নথি উপস্থাপন করা হয়েছিল। ওই নথিতে কমিশনাররা কিছু অবজারভেশনসহ টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। বিদায়ী কমিশনের সময় স্বল্পতার জন্য পরবর্তীতে নথি উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
সভায় বরিশাল অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, ইভিএমগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এইসব প্রতিষ্ঠান ইভিএমগুলো ফেরত নেওয়ার জন্য বার বার তাগিদ দিচ্ছে। ৬৩০টি ল্যাপটপ অকেজো অবস্থায় উপজেলা অফিসে রয়েছে। ল্যাপটপগুলো স্পর্শকাতর হওয়ায় তা দ্রুত ফেরত নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রদত্ত ফটোকপি মেশিনগুলো অকেজো অবস্থায় জেলা ও উপজেলায় রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আইডিএ প্রকল্প-২ এর পিডি বলেন, সার্ভার সংক্রান্ত মালামালগুলোর ক্রয় কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে। আগামীতে নতুন সার্ভার প্রদান সাপেক্ষে পুরোনো লাইসেন্সকৃত ল্যাপটপগুলো ফেরত নেওয়া যেতে পারে। এ লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা ২০০৭ সালে প্রদত্ত লাইসেন্সকৃত ৬৩০টি ল্যাপটপের তালিকা করে ল্যাপটপের বর্তমান অবস্থা সচিবালয়কে অবহিত করা প্রয়োজন।