শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

‘৭ মার্চের ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’

প্রকাশ: ৮ মার্চ ২০২২ | ৯:০৪ অপরাহ্ণ আপডেট: ৮ মার্চ ২০২২ | ৯:০৪ অপরাহ্ণ
‘৭ মার্চের ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ যুদ্ধের সময় বাংলার সর্বস্তরের মানুষকে সংগঠিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের পরই দেশজুড়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করে। যা স্বাধীনতার আন্দোলনে যোগদানের রূপ লাভ করে ২৫ মার্চের কালরাত্রে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতারের পর। আর ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক এক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

সোমবার (৭ মার্চ) তুরস্কের আঙ্কারায় ৭ মার্চের উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন দুতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে ৫২ভাষা আন্দোলন, ৫৪ নির্বাচন, ৬৬ ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, ৭০ নির্বাচন ও ৭১ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উপস্থিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিশ্বে বিরল। এ ভাষণের অন্তর্নিহিত শক্তির বিকাশ এতই শক্তিশালী ছিল, যার মর্মার্থ সমসাময়িক বিশ্বে যেমন- ভিয়েতনাম, অ্যাঙ্গোলাসহ অনেক দেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রেরণা দান করে। যার ফলে ২০১৭ সালে ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে এবং আগামীর সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গঠনে ব্রতি হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়াংশে জুম অ্যাপে রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান মিজ শাহনাজ গাজী অনুষ্ঠানের সূচি ঘোষণা করেন। শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিমুর রহমান ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে ৭ মার্চের ভাষণের (রঙিন ধারণ করা) ওপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর মুহাম্মদ সামাদ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ বদরুল আহসান, বিএসএমএমইউর অধ্যাপক মামুন আল মাহাতাব, গ্রিন ইউনিভার্সিটির ডিন অধ্যাপক ফারহানা হেলাল মেহতাব, মেম্বার সেক্রেটারি ভিশন ২০২১ ও হাঙ্গার ফ্রি ওয়াল্ডের কান্ট্রি রি-প্রেজিনটেটিভ আতাউর রহমান মিটন, কানাডা থেকে মুক্তধারা প্রকাশনার স্বত্বাধিকারী জহর লাল সাহা, ৭ মার্চের ভাষণের ওপর ডকুমেন্টারি চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি, জার্মান বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট খান লিটন ও মস্কো থেকে রাশিয়ায় বঙ্গবন্ধু বইয়ের লেখক বারেক কায়সার অংশ নেন।

সংলাপ/০৩/০৮/০১৪ আজিজ

সম্পর্কিত পোস্ট