এখন পর্যন্ত পাঁচ কোটি ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭২ জন ভোটার স্মার্টকার্ড পেয়েছেন। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন লিখিত প্রতিবেদন উত্থাপন করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৮টি। সেখান থেকে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে ৭ কোটি ৯ লাখ ৭৮টি। আর ভোটারদের মধ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে ৫ কোটি ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭২টি।
লিখিত প্রতিবেদনে মহাপরিচালক জানান, ভোটার তালিকা আইন অনুসারে— ‘‘ভোটার তালিকাভুক্ত যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন বা যিনি অনুরূপ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হইবার সময় অযোগ্য ছিলেন বা অযোগ্য হয়ে আছে তাহার নাম কর্তন করার ‘বিধান রয়েছে’’। এই বিধান অনুসারে গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত ৫০ লাখ ২৭ হাজার ৫১৮ জনের নাম ভোটার তালিকা হতে কর্তন করা হয়েছে। তবে কর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনাকালে কিছু কারণে জীবিত ভোটারকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে জানান ডিজি।
যেসব কারণে জীবিত ভোটারকে মৃত দেখানো হয়েছে—
তথ্য সংগ্রহকারীর করণিক ভুল, ডাটা এন্ট্রিতে ভুল এবং কিছু ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুল। তবে যেসব ব্যক্তি জীবিত থেকেও মৃত হিসেবে তালিকায় রয়েছেন তাদের প্রকৃত সংখ্যা কত হতে পারে তা বলা কঠিন বলে জানান এনআইডির কর্মকর্তারা।
ভোটাররা মৃত থেকে যেভাবে জীবিত হবেন—
মাঠ পর্যায়ে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার তথা রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কার্যালয়ে এমন ভোটারকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে। ওই ভোটারের আঙুলের ছাপ বা অটোমেটেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এএফআইএস) যাচাইয়ের মাধ্যমে ম্যাচিং হলে মৃত স্ট্যাটাসকে আবার জীবিত হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কার্যক্রম চালু রয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ সুবিধা মাঠ পর্যায়ে চালু রয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার তথা রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কার্যালয়ে গেলেই সেবাটি পাওয়া যাবে।