দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া আজ দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোলা ও ফেনী জেলা পরিষদে চেয়ারম্যানসহ সব পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এবং আদালতের নির্দেশে নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত থাকায় এ চারটি ছাড়া বাকি ৫৭টি জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ চলছে।
এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে প্রতিটি উপজেলা সদরের ভোটকেন্দ্রে। বাড়তি নজরদারির জন্য স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২ জন, সদস্য পদে এক হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য ৯৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাতজন সদস্য মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও র্যাবের একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
এ ছাড়া বৃহত্তর ১৯টি জেলায় দুটি প্লাটুন ও অন্যান্য জেলায় এক প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটকক্ষে ভোটাররা যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে অথবা ভোটকক্ষে ভোটদান বিশেষ করে গোপন কক্ষে ভোট প্রদানের ছবি তুলতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মত জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয় গত ২৩ আগস্ট। পার্বত্য তিন জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের লক্ষে এ তফসিল ঘোষণা করা হয়। দেশে ১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। আর কোনো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়নি।