পাগলা ঘোড়ার মতো প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পর ইউরোপের বাজারে কমতে শুরু করেছে দাম। গ্যাসের দাম কমে ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ইউরোপ কিছুটা হলেও সংকট এড়াতে পেরেছে। এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে জ্বালানির দাম বেড়ে আকাশচুম্বী হয়।
ইন্ডিপেনডেন্ট কমোডিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেঞ্চমার্ক পাইকারি গ্যাসের দাম কমে প্রায় পাঁচ শতাংশ। এতে প্রতি মেগাওয়াট ঘণ্টার মূল্য দাঁড়ায় ৪৯ ইউরো বা ৫২ মার্কিন ডলার, যা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের পর সর্বনিম্ন। গত বছরের আগস্টে এর মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৩২০ ইউরো।
এ ধরনের পরিবর্তন যেকোনো অঞ্চলের জন্যই উল্লেখযোগ্য বিষয়। গত কয়েক মাস আগেও ইউরোপে তীব্র জ্বালানি সংকট ছিল। কারণ ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া অঞ্চলটিতে জ্বালানি সরবরাহ কমিয়ে দেয়। রাশিয়া ছিল ইউরোপের সবচেয়ে বড় জ্বালানি সরবরাহকারী।
ধারণা করা হচ্ছে, মন্দার আশঙ্কাকে কেন্দ্র করে ইউরোপে জ্বালানির মূল্য আরও কমবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দাম কমার অন্যতাম কারণ হলো এ বছর শীতের মৌসুম তুলনামূলক উষ্ণ থাকা। তাছাড়া বিকল্প উৎস খুঁজে গ্যাস মজুতের চেষ্টাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এক পর্যায়ে সংরক্ষণাগারগুলোকে পূর্ণ করে রাখা হয়।
ইউরোপের গ্যাস অবকাঠামো বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্যাস স্টোরেজগুলো ৬৫ শতাংশই পূর্ণ, যা আগের পাঁচ বছরের গড় ৪৫ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি।
জানা গেছে, নরওয়ে থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস আনছে ইউরোপ। তাছাড়া কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র থেকেও প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করছে অঞ্চলটি।