
সময়ের সংলাপঃ এবারের রমজান কেমন কাটালেন?
মাহবুবঃ আমার জীবনে যতগুলো রমজান গেছে সবগুলোই ভালোভাবে কেটেছে। তন্মধ্যে এই রমজান একেবারেই অন্যরকম। কারণ মহামারির কারণে গেল দুটি বছর আমরা নামাজ, রোজা, সমাজিক আচার-অনুষ্ঠান কোনটায় ঠিক মতো করতে পারিনি। সবচেয়ে বড় কষ্টের কথা- আমরা মিলিত হয়ে একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারিনি। এবার আমরা সবার মধ্যে আবারও উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করছি। আমরা যে মহামারি কাটিয়ে একটা সুস্থ সুন্দর পৃথিবী ফিরে পেয়েছি এটা অনেক আনন্দের। এই বছর তাই আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিরা একটা ঈদ পুনঃমিলনী আয়োজনের কথা ভাবছি। যদি সাংগঠনিকভাবে এ আয়োজন না করতে পারি আমরা ঘরোয়া ভাবেই যে যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ আয়োজন করবো।
সময়ের সংলাপঃ আপনার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের ঈদ উদযাপন নিয়ে কী বলবেন?
মাহবুবঃ আমার প্রতিষ্ঠানের ৯০ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক বাংলাদেশি। আমার জীবনের যতগুলো ঈদ প্রবাসে কেটেছে সবসময় আমি একই রকম আয়োজনে খাবার খাই। ঈদের দিন নামাজের পর আমি সব কর্মী ভাইদের নিয়ে একসঙ্গে আনন্দ করি। এবারও তার ব্যত্যয় হবে না। বরং এবারের আয়োজন আরও জমকালো হবে। কারণ বিগত দু’টি বছর করোনা মহামারির কারণে আমদের প্রবল আগ্রহ থাকা সত্বেও মিলিত হতে পারিনি। এই বছর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় এবার আমাদের আনন্দ উৎসবে ভাটা পড়বে না।
সময়ের সংলাপঃ এই ঈদে সবার উদ্দেশ্য আপনার মূল বক্তব্য কী?
মাহবুবঃ আমরা যারা প্রবাসী আছি, বিশেষ করি সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীর, তারা একে-অপরের সঙ্গে কোনরূপ দ্বন্দ্ব, হিংসা বিদ্বেষ, শত্রুতা না রেখে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি, এটা জেনে ভালো লাগছে। এই সমাজে যতদিন হিংসা-বিদ্বেষ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত থাকবে ততদিন একটা দেশ, একটা জাতি পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে না। প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। তাই এই পবিত্র দিনে সকল কালিমা আর কলুষতাকে ধুয়ে মুছে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে পরস্পর প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হবো।