জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে জেনেভার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। শুরুতেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিশনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
শিশুদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান, কবিতা এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বাংলা স্কুল জুরিখের অনেক শিশু এতে অংশগ্রহণ করে।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেনেভা স্থায়ী মিশনের রাষ্ট্রদূত এম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বের
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জমাদার নজরুল এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান।
বক্তারা নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নেতৃত্ব দিতে শিক্ষা গ্রহণের তাগিদ দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান দেশপ্রেম ও আদর্শের ভিত্তিতে শিশুদের জীবন গড়ে তোলার জন্য প্রবাসী অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে শিশুদের সঠিক ইতিহাস শিক্ষার প্রতিও তিনি বিশেষ জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে সব বাধা বিপত্তি ও ষড়যন্ত্রকে অতিক্রম করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। জাতির পিতাই দেশের মানুষকে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনে তিনি অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন রাষ্ট্র পরিচালনা ও পুনর্গঠনে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বক্তব্যের শেষে প্রতিমন্ত্রী সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও মিশনের কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও মানবিক গুণাবলীর ওপর আলোচনা করেন। সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাতির পিতার আজীবন সংগ্রামের ফল হিসেবেই আজকের বাংলাদেশের শিশুরা একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ লাভ করেছে। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন, জাতি বিনির্মাণ ও সদ্য স্বাধীন দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
সংলাপ-১৮/০৩/০০৩/আ/আ