শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সম্পদের হিসাব দেননি নৌমন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ৫ এপ্রিল ২০২২ | ১২:০৯ অপরাহ্ণ আপডেট: ৫ এপ্রিল ২০২২ | ১২:০৯ অপরাহ্ণ
সম্পদের হিসাব দেননি নৌমন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা

আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান রয়েছে। এ নিয়মানুযায়ী সব কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখায় জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত অধিকাংশ কর্মকর্তা সম্পদের হিসাব জমা দেননি।

এ ইস্যুতে ৩১ মের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে নতুন করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) মো. আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত এ চিঠি সম্প্রতি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর আওতাভুক্ত তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/দপ্তর/অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত সব সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী দাখিল, উক্ত সম্পদ বিবরণী ডাটাবেজ তৈরি এবং এ মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও বিক্রয়ের অনুমতি গ্রহণের বিষয়ে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩ প্রতিপালনের জন্য চাওয়া তথ্যাদি যথাযথভাবে ছক অনুযায়ী চিঠির মাধ্যমে গত ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রশাসন শাখায় পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। অধিকাংশ কর্মকর্তাদের তথ্য আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তাদের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩ প্রতিপালনের জন্য চাওয়া তথ্য যথাযথভাবে ছক অনুযায়ী আগামী ৩১ মের মধ্যে প্রশাসন শাখায় পাঠানোর জন্য পুনরায় নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি পাঁচ বছর পরপর বাধ্যতামূলকভাবে সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে এ বিধান অতীতে তেমন মানা হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে বিধিমালাটি কার্যকরের মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দেওয়াসহ নিয়ম মানতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে গত বছরের ২৪ জুলাই চিঠি পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩-তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী উল্লিখিত বিধিগুলো কার্যকরভাবে কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে জোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এর ‘সম্পত্তির ঘোষণা’ উপ-শিরোনামের ১৩ বিধিতে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তার বা তার পরিবারের সদস্যদের মালিকাধীন বা দখলে থাকা শেয়ার, সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বিমা পলিসি এবং মোট পঞ্চাশ হাজার টাকা বা ততোধিক মূল্যের অলঙ্কারসহ সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে সরকারের কাছে ঘোষণা দিতে হবে এবং উক্ত ঘোষণায় নিম্নোক্ত বিষয়াদির উল্লেখ থাকবে-

১. যে জেলায় সম্পত্তি অবস্থিত উক্ত জেলার নাম
২. পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি দামের প্রত্যেক প্রকারের অলঙ্কার পৃথকভাবে প্রদর্শন করতে হবে
৩. সরকারের সাধারণ বা বিশেষ আদেশের মাধ্যমে আরও যেসব তথ্য চাওয়া হয়

এতে আরও বলা হয়, প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ডিসেম্বর মাসে উপবিধি-(১) এর অধীনে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, প্রদত্ত ঘোষণায় অথবা বিগত পাঁচ বছরের হিসাব বিবরণীতে প্রদর্শিত সম্পত্তির হ্রাস-বৃদ্ধি হিসাব বিবরণী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের কাছে জমা দিতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট