নিয়োগকর্তারা যদি অভিবাসী শ্রমিকদের বেতন কমানো, বেতন কাটা কিংবা টাকা-পয়সা নিয়ে কোনো রকম গড়িমসি করে তাহলে তাদের শ্রমিক নিয়োগের কোটা বাতিল করা হবে। যে কোনো নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিয়ে এলে তাকে অবশ্যই বাসস্থান ও বিমান ভাড়াসহ সব খরচ বহন করতে হবে, যাতে শূন্য খরচে বিদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারে। শুক্রবার (৩ জুন) মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান এসব কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, কর্মীরা নিজ দেশে এজেন্ট সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে, কোনো ভুক্তভোগী কর্মী চাইলে মালয়েশিয়ার শ্রমিকদের কল্যাণে নির্মিত ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কোনো অভিযোগ দায়ের করে তাহলে আমরা তাদের নিয়োগকর্তাদের কোটা বাতিল করবো।
বৃহস্পতিবার, (২ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠকে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় সাংবাদিকরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সংস্থাগুলোর বিক্ষোভের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বিক্ষোভের কথা অস্বীকার করে বলেন, প্রকৃতপক্ষে, তাকে একটি ভালো অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছিল। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রবেশের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানান।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদসহ আট বাংলাদেশি মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। নীতিগতভাবে তারা বৃক্ষরোপণ, কৃষি, উৎপাদন ও উন্নয়নের মতো বেশ কয়েকটি খাতে বাংলাদেশি শ্রমিক আনতে সম্মত হয়েছেন।